০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ২৩ পৌষ ১৪৩১, ৬ রজব ১৪৪৬
`

কালো টাকায় ভাসছে যুক্তরাষ্ট্রের ৩৬ ভাগ থিংক ট্যাংক : গবেষণা

-

যুক্তরাষ্ট্রের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে কী নিয়ে বিতর্ক চলবে, তা অনেকটাই নির্ধারণ করে দেয় দেশটির শীর্ষস্থানীয় বিভিন্ন পরামর্শক ও গবেষণাধর্মী প্রতিষ্ঠান, যাদের বলা হয় ‘থিংক ট্যাংক’। কিন্তু দেশটির শীর্ষস্থানীয় অনেক থিংক ট্যাংক কালো টাকায় ‘ভাসছে’ বলে সাম্প্র্রতিক এক গবেষণায় উঠে এসেছে। এসব কালো টাকার বেশির ভাগই আসে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের সরকার, সরকারি প্রতিষ্ঠান ও পেন্টাগনের সাথে ব্যবসা করা কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে। রয়টার্স
গবেষণাটি করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক থিংক ট্যাংক ‘কুইন্সি ইনস্টিটিউট ফর রেসপনসিবল স্টেটক্রাফট’। এতে নেতৃত্ব দেন প্রতিষ্ঠানটির দুই গবেষক বেন ফ্রিম্যান ও নিক ক্লেভিল্যান্ড-স্টোট। গবেষণায় যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় ৫০টি থিংক ট্যাংকের অর্থায়নের স্বচ্ছতা দেখার চেষ্টা করেছেন তারা। দেখা গেছে, গত পাঁচ বছরে (২০১৯-২৪) এসব প্রতিষ্ঠান অন্য দেশের সরকার ও সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ১১ কোটি ডলারের বেশি অর্থ অনুদান হিসেবে পেয়েছে।
এসব প্রতিষ্ঠানের পেছনে টাকা ঢালার ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। এর পরেই আছে যুক্তরাজ্য ও কাতার। এই তিনটি দেশ দিয়েছে যথাক্রমে এক কোটি ৬৭ লাখ, এক কোটি ৫৫ লাখ ও ৯১ লাখ ডলার। অন্যদিকে এসব অর্থের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পেয়েছে আটলান্টিক কাউন্সিল, ব্রুকিংস ইনস্টিটিউট ও জার্মান মার্শাল ফান্ড। গবেষণায় দেখা গেছে, ২০১৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত এসব থিংক ট্যাংক প্রতিরক্ষাবিষয়ক কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে পেয়েছে তিন কোটি ৪৭ লাখ ডলার।

গত পাঁচ বছরে প্রতিরক্ষাবিষয়ক কোম্পানিগুলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থ ঢেলেছে নর্থরোপ গ্রুমম্যান, লকহিড মার্টিন ও মিতসুবিশি। গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৫০টির মধ্যে ৩৬ শতাংশ (১৮টি) থিংক ট্যাংক বিপুল পরিমাণ কালো টাকায় ‘ভাসছে’। এসব প্রতিষ্ঠান তাদের অর্থায়ন সম্পর্কে প্রায় কোনো ধরনের তথ্যই প্রকাশ করে না। ৯টি প্রতিষ্ঠান (১৮ শতাংশ) অর্থায়নের উৎসের ব্যাপারে পুরোপুরি স্বচ্ছ রয়েছে। ২৩টি প্রতিষ্ঠান (৪৬ শতাংশ) আংশিক স্বচ্ছ।
গবেষকরা বলছেন, গত পাঁচ বছরে মার্কিন সরকার দেশটির থিংক ট্যাংকগুলোকে প্রায় ১৫০ কোটি ডলার দিয়েছে। এর বেশি ভাগই পেয়েছে র‌্যান্ড করপোরেশন, যারা সরাসরি মার্কিন সরকারের সাথে কাজ করে। কালো টাকায় চলা শীর্ষস্থানীয় ১৮টি থিংক ট্যাংকের তালিকায় রয়েছে আমেরিকান এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউট, বেলফার সেন্টার ফর সায়েন্স অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স, ক্যাটো ইনস্টিটিউট, সেন্টার ফর ইমিগ্রেশন স্টাডিজ, সেন্টার ফর পলিসি সিকিউরিটি, সেন্টার ফর ট্রান্স আটলান্টিক রিলেশনস, ডিসকভারি ইনস্টিটিউট ও ফরেইন পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট।
ফাউন্ডেশন ফর দ্য ডিফেন্স অব ডেমোক্র্যাসি, গেইটস্টোন ইনস্টিটিউট, গ্লোবাল সিকিউরিটি ইনন্টিটিউট, হার্টল্যান্ড ইনস্টিটিউট, হুভার ইনস্টিটিউশন, ম্যানহাটন ইনস্টিটিউট ফর পলিসি রিসার্চ, মার্কাটাস সেন্টার, নিউলাইনস ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড পলিসি, থার্ড ওয়ে এবং ওয়াশিংটন ইনস্টিটিউট ফর নিয়ার ইস্ট পলিসির নামও আছে এই তালিকায়।


আরো সংবাদ



premium cement
সুপ্রিম কোর্টের কয়েকজন বিচারপতির বিষয়ে তদন্তের নির্দেশনা রাষ্ট্রপতির মুন্সীগঞ্জ আদালতে জুলাই স্মৃতি সংযোগ করিডোরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন বিআইআইএফের মানবসম্পদ ব্যবস্থপনা বিষয়ক সেমিনার সস্ত্রীক দুদকের জালে মোস্তাফিজুর শিমুল ও ছাগলকাণ্ডের মতিউর চবি ছাত্র হৃদয় তরুয়া হত্যায় যুবলীগ নেতা এরশাদ গ্রেফতার ছাত্রশিবির অধিকার হারা মানুষের জন্য অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে : নূরুল ইসলাম বুলবুল উৎপাদনে আসছে পটুয়াখালী তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিট রাত নামলেই চোরের উপদ্রব বাড়ে চট্টগ্রামে ঢাবি ১৬২ শিক্ষার্থীর আকিজ-মনোয়ারা ট্রাস্ট বৃত্তি লাভ আগে বিচার ও সংস্কার এরপর নির্বাচন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব হলেন নজরুল ইসলাম

সকল