সংস্কার ছাড়া নির্বাচন নিয়ে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করা হলে দেশবাসী মানবে না : চরমোনাইর পীর
- চট্টগ্রাম ব্যুরো
- ০৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩:১৩
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির চরমোনাইর পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম ইসলাম দেশ ও মানবতা রক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, স্বাধীন বাংলাদেশে প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ না করে দ্রুত নির্বাচন আয়োজন করা নিয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হলে তা দেশবাসী মেনে নিবে না। এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হলে তা হবে অত্যন্ত দুঃখজনক।
গতকাল চট্টগ্রাম পলোগ্রাউন্ড ময়দানের কনফারেন্স লাউঞ্জে ভারতের রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক আধিপত্য প্রতিরোধ, চট্টগ্রামের আঞ্চলিক সমস্যার সমাধান এবং বৈষম্যহীন কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজনীয়তা শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন।
চরমোনাইর পীর বলেন, রাজনীতি ইসলাম দেশ ও মানবতার কল্যাণের জন্য। বিগত দিনে যারা ক্ষমতায় ছিলেন তারা নিজেদের কল্যাণের জন্য রাজনীতি করেছেন। আমরা ইসলাম, দেশ ও মানবতার কল্যাণে রাজনীতি করি বলে কারো কোনো সহযোগিতা নিয়ে এমপি-মন্ত্রী হতে রাজি হইনি। ইসলামী আন্দোলনের ব্যানারে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আমরা ন্যায়ের পক্ষে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাজপথে নেমে এসেছিলাম। কিন্তু এখন অনেক ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয়ভাবে আমাদের সাথে বৈষম্য করা হচ্ছে।
চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি মুহাম্মাদ জান্নাতুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমানের সঞ্চালনায় গোলটেবিল বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগর আমির শাহজাহান চৌধুরী, ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন ও অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় নেতা আশরাফ উদ্দিন মাহদী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা খান তালাত মোহাম্মদ রাফি, চট্টগ্রাম মহানগর হেফাজতে ইসলামের সভাপতি মাওলানা তাজুল ইসলাম, বিএনপি মহানগর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ সম্পাদক ডা: এস এম সরোয়ার আলম, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মো: নাজিমুদ্দিন চৌধুরী, খেলাফত মজলিস মহানগর সভাপতি অধ্যাপক খুরশিদ আলম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম মহানগর সভাপতি হাফেজ মাওলানা জাকারিয়া, চবি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সমন্বয়ক আবদুর রহমান, গণ-অধিকার পরিষদ মহানগর সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম, সেক্রেটারি মুহাম্মদ ইউসুফ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস মহানগর সাংগঠনিক সম্পাদক এনায়েতুল্লাহ আল মাদানী, চবির সহযোগী অধ্যাপক ড. শহিদুল হক, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আল ফুরকান ও সহযোগী অধ্যাপক ড. হুমায়ুন কবীর খালুভী, জামায়াতে ইসলামী মহানগর সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মো: নুরুল আমিন, নেজামে ইসলামী পার্টির মহানগর সভাপতি কারি ফজলুল করীম জেহাদী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা সমন্বয়ক মোহাম্মদ রিজুয়ান সিদ্দিকী, পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ সভাপতি কাজী মজিবুর রহমান মুজিব, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির চট্টগ্রাম মহানগর সাধারণ সম্পাদক মো: আনোয়ার হোসেন ও ইসলামী আন্দোলন মহানগর সেক্রেটারি আল মোহাম্মদ ইকবাল, ইসলামী আইনজীবী পরিষদ মহানগর সভাপতি অ্যাডভোকেট পারভেজ তালুকদার প্রমুখ।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়রে নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই বলেন, ৫৩ বছরের শাসকরা ভারতের গোলামী করেছে। তারা জনগণের আশা ও আকাক্সক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে পারেনি। তিনি বলেন, বর্তমান শিক্ষা কারিকুলাম বাতিল করে নতুন শিক্ষা কারিকুলাম সাজাতে হবে। অন্যথায় জুলাই বিপ্লব সফল হবে না।
সারজিস আলম বলেন, বর্তমান তরুণ প্রজন্ম বিবেক বেঁচে দেয়া দলান্ধ কোনো প্রজন্ম নয়। এই প্রজন্ম অনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে জেগে উঠবে। বাংলাদেশ ভারতের সম্পর্ক সম্মানের হলে সে সম্পর্ক টিকে থাকবে।
জামায়াত নেতা শাহজাহান চৌধুরী বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যার সাথে সাথে চট্টগ্রাম হুমকির সম্মুখীন। ভারত ৫৩ বছর নয়, ৮৩ বছর পর্যন্ত ধ্বংসের চক্রান্ত করছে। ভারতের সাথে ১৭ চুক্তি করা হয়েছে, এই ১৭ চুক্তি কি আমরা তা জানি না। রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিকভাবে উদ্ধার হতে আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা