আতশবাজি দেখতে গিয়ে লাশ হলেন যুবক
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ০২ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০৫
রাজধানীর লালবাগে মাহবুব আলম (৩২) নামে এক যুবককে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল জেএন সাহা রোডের লিবার্টি ক্লাবের সামনে থেকে রাত আড়াইটার দিকে তার রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত মাহবুব হত্যাসহ দুই মামলার আসামি ছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ঢামেক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
লালবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ক্যশৈনু মারমা বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে রাতে খবর পেয়ে জেএন সাহা রোডের ক্লাবের সামনে মৃত অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে পাওয়া যায়। তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। এ ছাড়া তার হাতে ও বুকে পুরাতন ব্যান্ডেজ ছিল।
তিনি আরো বলেন, মৃত মাহবুব অটোরিকশাচালক ছিলেন। তার নামে লালবাগ থানায় হত্যা মামলাসহ দু’টি মামলা রয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে গ্রুপিং নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে এখনই কিছু বলা সম্ভব হচ্ছে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নিহতের ছোট বোন বলেন, তাদের বাড়ি মাদারীপুর সদর উপজেলার চরমুগুরিয়া গ্রামে। বর্তমানে মাহবুব স্ত্রী ফাতেমা আক্তার ও এক মেয়েকে নিয়ে লালবাগ শহীদনগর ৮ নম্বর গলিতে বেলায়েত মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। ভাড়ায় অটোরিকশা চালাতেন। মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে বাসা থেকে বের হয়েছিলেন, আতশবাজি ফোটানো দেখবেন বলে। ভোরে খবর পাই পুলিশ ক্লাবের সামনে থেকে রক্তাক্ত লাশ পেয়ে ঢাকা মেডিক্যালে নিয়ে আসে।
তিনি আরো বলেন, গত ১৫ দিন আগে লালবাগ কেল্লা এলাকায় কে বা কারা মাহবুবকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করেছিল। তখন শ্যামলীর ক্রিসেন্ট হাসপাতালে চার দিন ভর্তি থেকে চিকিৎসা নেয়। ঘটনার সময় হাতসহ শরীরে ব্যান্ডেজ করা ছিল। এই অবস্থাতে আবার তাকে কুপিয়েছে। আগে কারা ওই ঘটনা ঘটিয়েছিল, তখন মাহবুব আমাদেরকে কিছুই বলেনি। এমনকি থানাতেও কোনো অভিযোগ করেনি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা