ইসকনের ২০২ অ্যাকাউন্টে জমা ২৩৬ কোটি টাকা
উত্তোলন ২২৩ কোটি ৭৩ লাখ টাকা- বিশেষ সংবাদদাতা
- ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:১৩, আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:২২
সনাতন ধর্মীয় সংগঠন ইসকনের ২০২টি অ্যাকাউন্টের সন্ধান পেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট বিএফআইইউ। এসব ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ২৩৬ কোটি ৪২ লাখ টাকা জমা দেয়া হয়েছিল। এর মধ্যে গত ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত উত্তোলন করা হয়েছে ২২৩ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। ব্যাংক হিসাবগুলোতে জমা রয়েছে ১২ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। পাশাপাশি ইসকনের বিতর্কিত নেতা চন্দন কুমার ধর ওরফে চিন্ময় কুমার দাসের নামে তিন কোটি ৯২ লাখ টাকা জমা হয়েছিল। যার প্রায় পুরো অর্থই উত্তোলন করা হয়েছে। এসব অ্যাকাউন্টে কারা অর্থ জমা দিয়েছিল ও জমাকৃত অর্থের উৎসের সন্ধানে কাজ শুরু হয়েছে। একটি গোয়েন্দা সংস্থার সংশ্লিষ্ট সূত্র গতকাল নয়া দিগন্তকে এ তথ্য জানিয়েছে।
এর আগে গত ৩০ নভেম্বর বিতর্কিত নেতা চন্দন কুমার ধর ওরফে চিন্ময় কুমার দাসসহ ইসকনের ১৭ জনের ব্যাংক হিসাবে লেনদেন ৩০ দিন স্থগিতের নির্দেশ দিয়েছিল বিএফআইইউ। ওইদিনই বিএফআইইউ এসব ব্যাংক হিসাবে লেনদেন স্থগিতের এ নির্দেশনা দেশের বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে পাঠিয়েছিল। যাদের ব্যাংক হিসাবে লেনদেন স্থগিত করা হয়েছে, তারা হলেন- চন্দন কুমার ধর ওরফে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস, কার্ত্তিক চন্দ্র দে, অনিক পাল, সরোজ রায়, সুশান্ত দাস, বিশ্ব কুমার সিংহ, চণ্ডীদাস বালা, জয়দেব কর্মকার, লিপি রানী কর্মকার, সুধামা গৌর দাস, লক্ষণ কান্তি দাশ, প্রিয়তোষ দাশ, রূপন দাস, রূপন কুমার ধর, আশীষ পুরোহিত, জগদীশ চন্দ্র অধিকারী ও সজল দাস।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ইসকনের ব্যাংক হিসেবের তথ্য চেয়ে এর আগে বিএফআইইউ থেকে বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে চিঠি দেয়া হয়েছিল। ব্যাংকগুলো থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে একটি প্রতিবেদন তৈরি করে বিএফআইইউ। এসব প্রতিবেদন পুলিশের দু’টি গোয়েন্দা শাখায় পাঠানো হয়েছে। একটি গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে, ইসকনের এ পর্যন্ত ২০২টি ব্যাংক হিসেবের তথ্য পেয়েছে বিএফআইইউ। এসব অ্যাকাউন্টে ২৩৬ কোটি ৭৩ লাখ টাকা জমা দেয়ার প্রমাণ মিলেছে। যার বেশির ভাগ অর্থই উত্তোলন করা হয়েছে। এসব অর্থ কারা জমা দিয়েছে, তাদের অর্থের উৎস কি, কি কি কাজে ব্যয় হয়েছে এসব তথ্য এখন খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা