০২ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮ পৌষ ১৪৩০, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৫
`

প্রতারণা মামলায় অনন্ত জলিলকে সমন

-

চিত্রনায়ক অনন্ত জলিলের বিরুদ্ধে গার্মেন্ট ব্যবসা ওয়ার্ক অর্ডারের বিপরীতে বিল না পরিশোধের প্রতারণার মামলায় প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় তাকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি করা হয়েছে। গতকাল ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো: ছানাউল্ল্যাহ পিবিআইয়ের দেয়া প্রতিবেদন আমলে নিয়ে আসামিদের আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেছেন।
সম্প্রতি রাজধানীর চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে জানিয়ে প্রতিবেদন দাখিল করেছেন পিবিআইয়ের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের পুলিশ পরিদর্শক তাপস চন্দ্র পণ্ডিত।
অনন্ত জলিল ছাড়া মামলার অন্য আসামিরা হলেন তার মালিকানাধীন পলো কম্পোজিট নিট ইন্ডাস্ট্রির এমডি ও তার স্ত্রী জাহানারা বেগম (কোম্পানির নিবন্ধিত তথ্য অনুযায়ী), কোম্পানিতে বিভিন্ন পদে কর্মরত মো: শরীফ হোসেন, সাইকুল ইসলাম, মো: মিলন ও সাইদুল ইসলাম।
জানা গেছে, গার্মেন্ট ব্যবসায় ওয়ার্ক অর্ডারের বিপরীতে প্রায় ২৯ হাজার ৩০০ ডলার মূল্যের বিল পরিশোধ না করে প্রতারণার আশ্রয় নেয়ার অভিযোগে ২০২৩ সালের ২৬ ডিসেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বাদি হয়ে মামলা করেন শাফিল নাওয়াজ চৌধুরী নামে এক ব্যবসায়ী।
ওই দিনই মামলার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বাদির জবানবন্দী নিয়ে অভিযোগের বিষয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত। পরে মামলা দায়েরের এক বছরের মাথায় গত ২৭ নভেম্বর এ প্রতিবেদন দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
মামলার আরজিতে বলা হয়, ২০২২ সালের ১৭ অক্টোবর পলো কম্পোজিট কোম্পানির নামে বাদির কাছে গার্মেন্ট সম্পর্কিত কিছু কাজের জন্য অর্ডার দেন আসামিরা। এরপর বাদি কাজ শুরু করে কাজের বিপরীতে প্রতিশ্রুত টাকা চাইলে আসামিরা তাকে কাজ চালিয়ে যেতে বলেন এবং এলসির মাধ্যমে টাকা দেবেন বলে জানান। পরবর্তীতে আরো বেশ কিছু কাজের অর্ডার দেন তারা। চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত সবগুলো কাজ আসামিদের বুঝিয়ে দেন বাদি। এরপর ২০২৩ সালের ১৫ মার্চ টাকা পরিশোধের জন্য মার্কেন্টাইল ব্যাংকে বাদির একটি এলসি করেন আসামিরা। কিন্তু এলসির কাগজপত্রে ত্রুটির জন্য ব্যাংক থেকে টাকা উঠাতে ব্যর্থ হন বাদি।
আরজিতে আরো বলা হয়, বাদি চুক্তি অনুযায়ী কাজ সম্পন্ন করলেও এখন পর্যন্ত এক টাকাও পরিশোধ করেনি অনন্ত জলিলের মালিকানাধীন কোম্পানি। যেখানে বিলের পরিমাণ প্রায় ২৯ হাজার ৩০০ ডলার।

 

 


আরো সংবাদ



premium cement