বাবল সিপ্যাপ শিশু নিউমোনিয়ায় বেশ কার্যকর প্রমাণিত
আইসিডিডিআর,বির তৈরি এ চিকিৎসায় খরচ অনেক কম- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:২১
শিশুদের নিউমোনিয়া সারাতে আইসিডিডিআর,বির বিজ্ঞানীর তৈরি বাবল সিপ্যাপ কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। খুবই কম দামি এবং নিউমোনিয়া চিকিৎসায় অত্যন্ত কার্যকর এই পদ্ধতিটি বাংলাদেশ ছাড়াও আফ্রিকার দেশ নাইজেরিয়া, ইথিওপিয়া এবং মালাবিতে ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা চালানো হলে একই রকম কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে।
আইসিডিডিআর,বির পরিচালিত ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে প্রমাণিত হয়েছে যে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রস্তাবিত কম প্রবাহের (লো ফ্লো) অক্সিজেন থেরাপির তুলনায় সিপ্যাপ ৭৫ শতাংশ শিশুমৃত্যুর হার কমাতে সাহায্য করে। এই কম দামি ডিভাইসটির নাম দেয়া হয়েছে সিপ্যাপ বা বিসিপ্যাপ। উচ্চ প্রবাহ এবং স্বল্প প্রবাহের অক্সিজেন থেরাপির তুলনায় সিপ্যাপের মাধ্যমে চিকিৎসার মৃত্যুর (ব্যর্থতা) হার ছিল উল্লেখযোগ্যভাবে কম। যন্ত্রটি সহজ নকশা এবং স্বল্প অর্থ খরচে উৎপাদন করা গেলে এটি অনেক উন্নত শ্বাস-প্রশ্বাস সহায়ক যন্ত্রের চেয়ে বেশি কার্যকর।
‘বাবল কন্টিনিউয়াস পজিটিভ এয়ারওয়ে প্রেশার (বিসিপ্যাপ) : শিশুদের তীব্র নিউমোনিয়া চিকিৎসার জন্য স্থানীয়ভাবে তৈরি, সাশ্রয়ী মূল্যের এবং জীবন রক্ষাকারী একটি উদ্ভাবন’ শীর্ষক সেমিনারে শিশু চিকিৎসকরা যন্ত্রটির কার্যকারিতার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন।
মহাখালীর আইসিডিডিআর,বির সাসাকাওয়া হলে অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মেডিক্যাল রিসার্চ কাউন্সিলের চেয়ারপারসন বিশিষ্ট গাইনি চিকিৎসক অধ্যাপক ডা: সায়েরা আক্তার। সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- অধ্যাপক ডা: মেসবাহ উদ্দিন আহম্মেদ, অধ্যাপক চৌধুরী আলী কাওসার, অধ্যাপক আব্দুল মান্নান প্রমুখ। শুরুতেই এ যন্ত্রটির কার্যকারিতা নিয়ে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক আবিদ হোসেন মোল্লা। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন আইসিডিডিআর,বির প্রথম বাংলাদেশী নির্বাহী পরিচালক ড. তাহমিদ আহমেদ।
ড. তাহমিদ বলেন, বাবল সিপ্যাপের ক্লিনিক্যাল পরীক্ষার সাফল্যের পর আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ হবে বাংলাদেশে এর ব্যবহার বৃদ্ধি করা, যাতে নিউমোনিয়া থেকে আমাদের দেশের আর কোনো শিশুর মৃত্যু না হয়। সিপ্যাপের আবিস্কারক আইসিডিডিআর,বির সিনিয়র বিজ্ঞানী ড. মোহাম্মদ জুবায়ের চিশতী বলেন, এই যন্ত্রটির পরীক্ষায় অনেক প্রচলিত পদ্ধতির চেয়ে বেশি কার্যকর দেখা গেছে। ইতোমধ্যে ইথিওপিয়ায় ৩৭টি, নাইজেরিয়ায় ২৪টি এবং মালাবির ১২টি হাসপাতালে এই প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হয়েছে। এখন বাংলাদেশ এবং এশিয়ার দেশগুলোতেও জীবন রক্ষাকারী এই উদ্ভাবনের ব্যবহার বৃদ্ধি করা উচিত।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা