০২ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮ পৌষ ১৪৩০, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৫
`

বিশ্বে প্রতি ৫ জনে ১ শিশু যুদ্ধের শিকার : ইউনিসেফ

-

যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলের শিশুদের বিষয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছে জাতিসঙ্ঘ। সম্প্রতি বিশ্বের নানা প্রান্তে বেড়েছে যুদ্ধবিগ্রহ। সাথে বেড়েছে শিশুদের প্রতি সহিংসতা। এর নেতিবাচক প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসঙ্ঘ। বিশ্বে প্রতি পাঁচজনের একজন শিশু যুদ্ধের ভয়াবহতার শিকার হচ্ছে। সম্প্রতি এমন সতর্ক বার্তা দিয়েছে জাতিসঙ্ঘ। শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের প্রধান কার্যনির্বাহী ক্যাথরিন রাসেল যুদ্ধবিদ্বস্ত শিশুদের নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ইউনিসেফের ইতিহাসে ২০২৪ সাল যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলের শিশুদের জন্য এক ধ্বংসাত্মক বছর। তিনি আরো বলেন, নিরাপদ অঞ্চলে থাকা শিশুদের তুলনায় যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলের শিশুদের অপুষ্টিতে ভোগা ও শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হওয়ার সংখ্যা অনেক বেশি। সম্প্রতি কমবয়সী মহিলা এবং মেয়েদের ওপর ক্রমবর্ধমান নির্যাতনের বিষয়টিও সামনে এনেছে ইউনিসেফ। ২০২৪ সালে আফ্রিকার দেশ হাইতিতে নারী নির্যাতন বেড়েছে প্রায় এক হাজার গুণ। ইউনিসেফের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বিশ্বে ৪৭ কোটি ৩০ লাখ শিশু যুদ্ধের ভয়াল থাবার সম্মুখীন। যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সর্বোচ্চ। ১৯৯০ সালের পর থেকে যুদ্ধবিধ্বস্ত শিশুর সংখ্যা দ্বিগুণ আকার ধারণ করেছে। ২২ হাজার ৫৫৭ জন শিশুর বিরুদ্ধে ঘটে যাওয়া ৩২ হাজার ৯৯০টি মারাত্মক সহিংসতার ঘটনা প্রামাণ্য আকারে উপস্থাপন করেছে জাতিসঙ্ঘ। উল্লেখ্য, গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনে নিহত কমপক্ষে ৪৫ হাজার মানুষের মধ্যে শতকরা ৪৪ শতাংশই শিশু। গাজায় বর্তমানে তীব্র মানবিক সঙ্কট চলছে। খাবার, নিরাপদ পানি, বাসস্থান ও চিকিৎসা সেবার তীব্র সঙ্কটে গাজা উপত্যকা। জুলাইয়ে সেখানে মহামারী আকার ধারণ করে পোলিও। যদিও এমন প্রতিকূল পরিস্থিতি উপেক্ষা করে ফিলিস্তিনের গাজায় প্রায় ৯০ শতাংশ শিশুর কাছে টিকা পৌঁছে দেয় জাতিসঙ্ঘ। তাছাড়া রাশিয়া ২০২৪ সালের প্রথম ৯ মাসে ইউক্রেনে যে নৃশংসতা চালিয়েছে, তাতে যে পরিমাণ শিশু আক্রান্ত হয়েছে তাদের সংখ্যা ২০২৩ সালে আক্রান্ত শিশুদের সংখ্যাকে ছাড়িয়ে গেছে। গাজা ছাড়াও বিশ্বের ৪০ শতাংশ যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকার শিশুরা তীব্র মানবিক সঙ্কটে আছে এমন তথ্যও দিয়েছে জাতিসঙ্ঘ।

 


আরো সংবাদ



premium cement