বাড়িভাড়া নিয়ন্ত্রণ আইন প্রণয়নের দাবি জাতীয় নাগরিক সমাজের
- ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:০৪
রাজধানীর বাড়িভাড়া নিয়ন্ত্রণে যুগোপযোগী বাড়িভাড়া আইন প্রণয়ন ও কার্যকর করার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক সমাজ। গতকাল সংগঠনের কার্যালয়ে এক আলোচনা সভা থেকে এ দাবি জানানো হয়। সংগঠনের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ নাসির উদ্দীন মুন্সীর সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ নাগরিক অধিকার ফোরামের দফতর সম্পাদক হারুন অর রশিদ, সিটিজেন পরিবেশ উন্নয়ন সোসাইটির ভাইস চেয়ারম্যান মো: সাইফুল ইসলাম, সংগঠনের মহাসচিব মো: মোশারফ হোসেন প্রমুখ।
হারুন অর রশিদ বলেন, ১৯৬১ সালে বাড়ি ভাড়া নিয়ন্ত্রণে তিন বছরের জন্য একটি অধ্যাদেশ জারি করে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান সরকার। অধ্যাদেশের মেয়াদ শেষে ১৯৬৩ সালে তা প্রণীত ও প্রবর্তিত হয়। এ অধ্যাদেশের ক্ষমতাবলে সরকার ১৯৬৪ সালে প্রণীত বিধিমালাটি ১৯৮৫ সাল ডিসেম্বর পর্যন্ত কার্যকর ছিল। ১৯৯১ সালে ওই অধ্যাদেশ অনুসরণ করেই জারি হয় ‘বাড়ি ভাড়া নিয়ন্ত্রণ আইন’ ১৯৯১ । বাড়ি ভাড়া আইন ১৯৯১ এর ৭ ধারা অনুযায়ী কোনো বাড়ি ভাড়া মানসম্মত ভাড়ার অধিক বৃদ্ধি করা হলে ওই অধিক ভাড়া কোনো চুক্তিতে ভিন্নরূপ কিছু থাকা সত্ত্বেও আদায় যোগ্য হবে না। আইনের ১৩ (১) ধারা মোতাবেক বাড়ি ভাড়া রসিদ ভাড়া টিয়াকে দিতে হবে। কিন্তু বেশির ভাগ বাড়িওয়ালা ভাড়া নিয়ে রসিদ দেন না।
জাতীয় নাগরিক সমাজের দাবি ১৯৯১ সনের বাড়ি ভাড়া নিয়ন্ত্রণ আইন যুগোপযোগী কর। ভাড়াটিয়াদের সাথে চুক্তি সম্পাদন কর। এলাকাভিত্তিক প্রতি বর্গফুট অনুসারে বাড়ি ভাড়া নির্ধারণ কর। বাড়ি ভাড়ার পাকা রসিদ প্রদান কর। এক মাসের বেশি ভাড়াটিয়াদের কাছ থেকে অগ্রিম অর্থ নেয়া যাবে না। বিনা অজুুহাতে বাড়ি ভাড়া বাড়ানো যাবে না। আইনের সংশ্লিষ্ট ধারা প্রয়োগ করতে হবে। পাঁচটি মৌলিক চাহিদার মধ্যে মানুষের বাসস্থানের চাহিদা পূরণ কর। সরকারি কোয়ার্টার নির্মাণ করে স্বল্প আয়ের মানুষের মধ্যে ভাড়া প্রদান কর। এলাকাভেদে বাড়ি ভাড়ার নির্ধারণের পাশাপাশি দুই বছরের পূর্বে ভাড়া বৃদ্ধি করা যাবে না। বিজ্ঞপ্তি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা