১৫ বছর পর গ্রেফতার, জামিনে এসে হুমকি জনতা ব্যাংক সিবিএ নেতার
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৩০
ছিলেন মুগদা এলাকার ইলেকট্রিক মিস্ত্রী। সেখান থেকে চাকরি হয় জনতা ব্যাংকে পিওন হিসেবে। এরপর লিফটম্যান ও পরিবহনপুলে কাজ করে হয়ে যান জনতা ব্যাংকের সিবিএ নেতা। আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি লুৎফর রহমানকে। দুই হাতে কামাতে থাকেন টাকা। অবৈধ টাকার দাপটে মুগদা মান্ডা এলাকায় গড়ে তুলেছেন তিনটি বহুতল ভবন। কিনেছেন প্লট। নামে-বেনামে গড়ে তুলেছেন একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। শুধু তাই নয়, ব্যাপক প্রভাব খাটিয়ে জাল-জালিয়াতি করে প্রতিবেশীদের জমিও দখলে নিয়েছেন। যারা তার কাছে জমি বিক্রি করতে চাননি তাদের ওপর চালিয়েছেন অমানসিক নির্যাতন, হামলা। মিথ্যা মামলা দিয়ে ঘরছাড়া করিয়েছেন বছরের পর বছর। গত ১৫ বছর একাধিক মামলা ও জিডি করেও লুৎফরের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া যায়নি। অবশেষে গত ৫ আগস্টের পর এক মামলায় গ্রেফতার হন লুৎফর রহমান। কিন্তু বিপুল পরিমাণ টাকার বিনিময়ে বিএনপির একটি গ্রুপ তাকে ছাড়াতে মরিয়া হয়ে ওঠে। জামিনে বের হয়ে তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার বাদিদের হুমকি দিচ্ছেন। ফলে ফের লুৎফর আতঙ্কে দিন কাটাতে হচ্ছে প্রতিবেশীদের। মো: মামুন ইবনে হাতেমী নামে এক ভুক্তভোগী বলেন, আমি লুৎফর রহমানের প্রতিবেশী। বাবা নুরুল ইসলাম হাতেমী ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত আলিয়া মাদরাসায় ভর্তি হওয়ায় প্রথম তিন শিক্ষার্থীর একজন। এলাকার মসজিদসহ বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠান নির্মাণে বাবার অবদান রয়েছে। বাবা বেঁচে থাকায় অবস্থায় কোনো অসুবিধা হয়নি। কিন্তু তার মৃত্যুর পর লৎফর কুনজর পড়ে আমাদের বাড়ি ওপর। এ বাড়ি দখলে নিতে তার সন্ত্রাসী ভায়রা ভাই মুগদা ৬ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম ভাট্টির সহযোগিতায় আমার বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিতে শুরু করে। রাত-দিনে বাড়িতে হামলা চালিয়ে সবাইকে আতঙ্কে রাখতেন। আমার মৃত বাবাকে জীবিত দেখিয়ে গ্যাস-বিদ্যুতের লাইনের ভুয়া কাগজ তৈরি করে। ক্ষমতার দাপটে পুলিশের সামনে আমার বাড়ির অংশ ভেঙে ফেলেন। তারপরও তাকে কিছুই বলার ছিল না। তার ষড়যন্ত্রমূলক সাজানো মামলায় ১২ বছর ফেরারি ছিলাম। এ সময়ে আমার সুখের একান্নবর্তী সরকার এলোমেলো হয়ে যায়। বিচারের জন্য বিভিন্ন সংস্থায় দৌড়ঝাঁপ করেছি। টাকার কারণে বেশিরভাগ সংস্থার সদস্যরাই লুৎফরের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। অবশেষে ৫ আগস্টের পর পুলিশ গ্রেফতার করলেও বিএনপির কয়েকজন নেতা লুৎফরকে রক্ষা করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।
এ ব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত লুৎফর রহমানের সাথে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা