বিশ্ব ইজতেমার মাঠে সংঘর্ষের বিচারবিভাগীয় তদন্ত দাবি

তাবলিগ জামাতের সাদপন্থী নেতা মুয়াজ বিন নূরের নিঃশর্ত মুক্তিসহ ১০ দফা দাবি জানানো হয়েছে। একই সাথে টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমার মাঠে সংঘর্ষের ঘটনায় বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবিও করা হয়েছে।
গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন সাদপন্থী নেতা মাওলানা শফিক বিন নাঈম।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ১৮ ডিসেম্বর টঙ্গীর ময়দানে দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে, সে জন্য আমরা মর্মাহত। আমরা লক্ষ করেছি, এই ঘটনাকে রাজনৈতিক আলেমরা তাদের স্বার্থসিদ্ধির প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ব্যবহার করছেন। সারা দেশে অহিংস ও শান্তিপ্রিয় তাবলিগ জামাতের মাওলানা সাদের অনুসারীদের ঘরবাড়ি ও দোকানপাট ভেঙে দেয়া হচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় আমাদের সাথীদের ওপর বর্বরোচিত আক্রমণ হচ্ছে।
মাওলানা শফিক বিন নাঈম বলেন, মামলা ছাড়াই সাথীদের গ্রেফতার, বিভিন্ন মসজিদে সাথীদের নামাজ ও ইবাদত করতে বাধা দেয়া হচ্ছে। পুলিশের সহযোগিতায় একদল উগ্রপন্থী বাসাবাড়িতে গিয়েও তাবলিগের সাথীদের মারধর করছে। অন্যায়ভাবে এক পক্ষের মুখপাত্রকে গ্রেফতার করা হচ্ছে। আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে বিদেশী মেহমানমানদের ওপরও তারা হামলা করছে।

সংবাদ সম্মেলনে ১০ দফা দাবিও তুলে ধরেন তিনি। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- সাদ কান্ধলভীর অনুসারীদের নামে করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে, মুফতি মুয়াজ বিন নূরকে দ্রুত নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে, সারা দেশে মসজিদভিত্তিক তাবলিগের কাজকে সমান অধিকারের ভিত্তিতে পরিচালনার পরিবেশ তৈরি করে দিতে হবে, তাবলিগের যেকোনো বিষয়ে হেফাজত বা যোবায়েরপন্থী এমন এক পক্ষের ব্যক্তিদের সাথে বসে সিদ্ধান্ত নেয়া পরিহার করতে হবে, সঠিক সময়ে কাকরাইল মসজিদ এবং টঙ্গী ইজতেমা ময়দান বুঝিয়ে দিয়ে নির্দিষ্ট তারিখে বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠান করার সব কার্যক্রম নিশ্চিত করতে হবে, নিজামুদ্দিনের অনুসারীদের ওপর নির্যাতনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে, তাবলিগের উভয়পক্ষকে নিয়ে সমঝোতার পরিবেশ তৈরি করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক অধ্যাপক মঞ্জুরুল হক, মাওলানা মাসুদুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।