গোড্ডার বিদ্যুৎ শ্রীলঙ্কায় বিক্রি করবে আদানি
- নয়া দিগন্ত ডেস্ক
- ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৩৮
বাংলাদেশে আদানির বিদ্যুৎ সরবরাহ কমেছে, গোড্ডার বিদ্যুৎ তাই শ্রীলঙ্কায় বিক্রি করবে আদানি পাওয়ার। বাংলাদেশে রাজনৈতিক পরিবর্তনের কারণে বর্তমানে এই প্রকল্পটি চাপের মুখে পড়েছে। এই ধরনের প্রকল্প টিকিয়ে রাখার জন্য ভারত সরকার সম্প্রতি দেশীয় বাজারে বিদ্যুৎ বিক্রির অনুমতি দিয়েছে। তবে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে গেলে আদানিকে নতুন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক তৈরি করতে হবে।
হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বকেয়া টাকা না মেটানোয় বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে আদানি পাওয়ার। আগে এই সংস্থা বাংলাদেশে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ পাঠাতো তা থেকে কমিয়ে মাত্র ৪০ শতাংশ বিদ্যুৎ পাঠাচ্ছে। সাধারণত ঝাড়খণ্ডের গোড্ডা প্ল্যান্ট থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ পাঠিয়ে থাকে আদানি পাওয়ার। এই অবস্থায় প্রতিবেশী দেশ যেমন শ্রীলঙ্কার কাছে বিক্রি করতে চাইছে সংস্থাটি। তবে তা করতে গেলে বাংলাদেশের সম্মতি প্রয়োজন।
বর্তমানে গোড্ডায় আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুতের নেটওয়ার্ক শুধু বাংলাদেশে রফতানির জন্য। যদিও শ্রীলঙ্কার কাছে বিদ্যুৎ বিক্রি করার ক্ষেত্রে ভারতের তরফ থেকে কোনো বাধা থাকবে না। কিন্তু সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ থেকে বাধা আসতে পারে। কারণ এর জন্য বাংলাদেশের অনুমোদন প্রয়োজন। এ বিষয়ে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, আদানির যে প্রকল্পটি বাংলাদেশের জন্য ছিল সেটি এখন শ্রীলঙ্কার কাছে বিক্রি করতে চাইছে। আমি বিশ্বাস করি এর জন্য বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট অথরিটির কাছে সম্মতি নিতে হবে।
প্রসঙ্গত, বিদ্যুৎ বিক্রি বাবদ বাংলাদেশে কয়েক মিলিয়ন ডলার বকেয়া রয়েছে। যদিও সঠিক পরিমাণ কতটা তা নিয়ে দুইপক্ষের মধ্যে বিরোধ রয়েছে। বকেয়া না মেটানোর পরেই বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে দিয়েছে আদানি পাওয়ার। আদানি গোষ্ঠীর সূত্রে জানা যাচ্ছে, প্ল্যান্ট থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ দেশীয় বাজারের পাশাপাশি শ্রীলঙ্কার মতো প্রতিবেশী দেশগুলিতে বিক্রি করতে চাইছে তারা। ভারতীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, প্রকল্পটি থেকে শ্রীলঙ্কার কাছে বিদ্যুৎ বিক্রি করা ভারতীয় নিয়মে কোনো সমস্যা হবে না। প্রসঙ্গত, ১,৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন গোড্ডা প্ল্যান্টটি ২০২৩ সালের জুন মাসে চালু করা হয়।
এ দিকে বাংলাদেশে আদানি প্রকল্পটি যাচাই-বাছাই চলছে। হাইকোর্ট ১১টি প্রকল্পের তদন্ত করতে বলেছে। যার মধ্যে আদানি পাওয়ারও রয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারকে এই উদ্দেশ্যে আন্তর্জাতিক আইন সংস্থা নিয়োগের জন্য বলেছে হাইকোর্ট।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা