ব্যটারিচালিত রিকশাকে লাইসেন্স প্রদান ও ট্যাক্সের আওতায় আনতে হবে
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০
রাজধানীতে চলাচলরত ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাকে শৃঙ্খলায় ফেরাতে লাইসেন্স প্রদান ও ট্যাক্সের আওতায় আনার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরে এই প্রস্তাবনা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো: সাজ্জাত আলী। গতকাল শনিবার রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে পুলিশ, ছাত্র প্রতিনিধি ও রমনা মডেল থানা এলাকার নাগরিকদের সমন্বয়ে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
কমিশনার বলেন, ঢাকা শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থার জন্য একটা বড় মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এই ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা। ম্যানুয়াল বা পায়ে চালিত রিকশার সাইজ ছোট হয়। কিন্তু অটোরিকশার সাইজ বড়। তা ছাড়া মেশিন লাগানোর কারণে এর গতিও অনেক বেশি। এই অটোরিকশার সংখ্যা যেভাবে দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে, তা অচিরেই বন্ধ করা না গেলে কেউ ঘর থেকে বের হতে পারবেন না। বের হলেই দেখবেন অটোরিকশার জ্যাম লেগে গেছে, আর কোনো জায়গা নেই। ৮০-৯০ হাজার টাকায় কিনে প্রতিদিন হাজার টাকা লাভ পাচ্ছে। তাই সবাই অটোরিকশার পেছনে ঝাঁপিয়ে পড়ছে। কিন্তু রাজধানীতে এত অটোরিকশা চালাচলের রাস্তা নেই। তাই সরকারকে বলা হয়েছে অটোরিকশাকে সীমিত করে আনতে। অর্থাৎ একটা শহরে কতটি অটোরিকশা চলবে সেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। অটোরিকশাকে লাইসেন্স ও ট্যাক্সের আওতায় আনতে হবে। জনগণের টাকার রাস্তা ব্যবহার করবেন অথচ ট্যাক্স দেবেন না? এটা পৃথিবীর কোথাও নেই। এ ছাড়া অটোরিকশাগুলো বিদ্যুৎও ব্যবহার করছে।
শেখ সাজ্জাত আলী আরো বলেন, ঢাকা শহরের কোনো রাস্তা পরিকল্পনা করে তৈরি করা হয়নি। যত্রতত্র রাস্তা করে তার পাশে বড় বড় বিল্ডিং করে বসবাস করছে মানুষ। সবাই যদি নিচে নেমে আসে তাহলে নিচে সবার দাঁড়ানোর জায়গাও হবে না। অ্যাম্বুলেন্স-ফায়ার সার্ভিস ঢুকতে পারে না। ইদানীং যুক্ত হয়েছে এই ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার যন্ত্রণা।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা