শিক্ষার্থীরা আরবি ভাষা শিখলে উন্নয়নে অবদান রাখতে পারবে
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:৪৩
বিশ্ব আরবি ভাষা দিবস উপলক্ষে এক সেমিনারে বক্তারা বলেন, বর্তমান বিশ্বে শিক্ষা-সংস্কৃতি ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে আরবি ভাষা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। ধর্মীয় বিবেচনা, বৈশ্বিক ও কূটনৈতিক অঙ্গনে এ ভাষা চর্চা অব্যাহত রয়েছে। বাংলাদেশের রেমিট্যান্সের বৃহৎ একটি অংশ আরবি ভাষাভাষী মধ্যপ্রাচ্যের দেশ থেকে অর্জন করে। আমাদের শিক্ষার্থীরা যদি আরবি ভাষা শিখতে ও চর্চা করতে পারে তাহলে তারা দেশের উন্নয়নে আরো অবদান রাখতে পারবে।
বাংলাদেশ কওমি ছাত্র পরিষদের উদ্যোগে গতকাল জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের ইসলামিক ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সেমিনারে বক্তারা এ কথা বলেন। সেমিনারে কওমি মাদরাসার তলাবায়ে কওমিয়ার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে।
আস-সাক্বফা সম্পাদক ড. আব্দুস সামাদের সভাপতিত্বে সেমিনারে আলোচনা করেন, বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক শাইখ শরিফুল ইসলাম ইমদাদি রাহাত, শাইখ ফরিদ উদ্দিন মাদানী, মুফতি সাঈদ আহমদ খান নদভী, মুফতি মুহাম্মাদুল্লাহ নাসিম নদভী, মুফতি মুহাম্মাদ সাদ বিন মাজহারুল ইসলাম, মুফতি ফরহাদুল ইসলাম, মুফতি আ স ম আল আমিন প্রমুখ। বাংলাদেশ কওমি ছাত্রপরিষদের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক মাওলানা আসাদুজ্জামান নূরের সঞ্চালনায় সেমিনারে আরো উপস্থিত ছিলেন সদস্যসচিব হাফেজ আব্দুর রহিম, আফিস সম্পাদক হাফেজ হেলাল উদ্দিন প্রমুখ।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, আরবি ভাষা বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন ও সমৃদ্ধশালী একটি ভাষা। ১৮ ডিসেম্বর, ১৯৭৩ সালে জাতিসঙ্ঘের সাধারণ সভার ২৮তম অধিবেশনে এ ভাষাকে দাফতরিক ভাষার স্বীকৃতি দেয়া হয়। এ ভাষার সাহিত্য অত্যন্ত সমৃদ্ধ। বিশ্বের ২২টি দেশের রাষ্ট্রীয় ভাষা আরবি। ইউনেস্কো এই ভাষাকে স্মরণীয় করে রাখতে ১৮ ডিসেম্বরকে বিশ্ব আরবি ভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা দেয়।
বক্তারা আরো বলেন, জাতিসঙ্ঘের ছয়টি ভাষার মধ্যে অন্যতম ভাষা আরবি। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, আমাদের দেশে আরবি ভাষাকে সেভাবে গুরুত্ব দেয়া হয় না।