১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

মৃত্যুবার্ষিকীতে কাদের মোল্লার স্মরণে শাহবাগে দোয়া মাহফিল

-

জামায়াতে ইসলামীর নেতা আব্দুল কাদের মোল্লার ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিল করেছেন শাহবাগ প্রতিরোধ আন্দোলনের সহযোদ্ধাদের প্লাটফর্ম ‘মেঘনা-৫’। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনে এ আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়।
কাতারের হামাদ বিন খলিফা গ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থী এবং ‘মেঘনা-৫’ এর আহ্বায়ক মোহাম্মদ ইশরাকের সভাপতিত্বে মিলাদ মাহফিল শুরু হয়। এসময় মোহাম্মদ ইশরাক বলেন, ট্রাইব্যুনাল যে ভুয়া ছিল এটা স্পষ্ট। এ ট্রাইব্যুনাল শুধু কাদের মোল্লা-নিজামীদের ওপর জুলুম করেনি। হিন্দু সাক্ষীদেরও জুলুম করেছে। সেইফ হোমে নিয়ে দিনের পর দিন অত্যাচার করেছে। এ ট্রাইব্যুনালের আইনটাই এতটা ভুয়া যে চব্বিশের গণহত্যাকারীদের বিচারের জন্য আইন পরিবর্তন করতে হচ্ছে।
আব্দুল কাদের মোল্লার পরিবারের পক্ষ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. জহিরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, কাদের মোল্লা আর কসাই কাদের এক ব্যক্তি নয়। যিনি কসাই কাদের ছিলেন তিনি মিরপুরেই মারা যান আর কাদের মোল্লা কখনো মিরপুর এলাকায়ই যাননি। আমরা এ বিচারিক হত্যার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
প্রধান অতিথি ছিলেন মতিউর রহমান নিজামীর ছেলে ব্যারিস্টার নাজীব মোমেন। তিনি বলেন, আধিপত্যবাদীরা তাদের রাজত্ব মজবুত করার জন্য বিচারিক হত্যাকাণ্ড করেছে। কাদের মোল্লা ছিলেন ফ্যাসিবাদী আমলের প্রথম শহীদ। আমরা কখনো এই হিন্দুত্ববাদী, আধিপত্যবাদী বিচারকে মেনে নেবো না।
নাজীব মোমেন আরো বলেন, এ ট্রাইব্যুনালের সাথে জড়িত বিচারপতি এবং সাক্ষীদের বিচার প্রত্যাশা করেছেন। এজন্য কার্যকর পদক্ষেপ নিতে তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ১২ ডিসেম্বর রাত ১০টা ১ মিনিটে কাদের মোল্লাকে পুরাতন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ফাঁসিকাষ্ঠে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। এর আগে ওই বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি আব্দুল কাদের মোল্লাসহ সব যুদ্ধাপরাধীর সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার দাবিতে শাহবাগে ‘গণজাগরণ মঞ্চ’ এর আন্দোলন শুরু হয়।


আরো সংবাদ



premium cement