খুনের ঘটনায় যেন অপমৃত্যুর মামলা রেকর্ড না হয়

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো: সাজ্জাত আলী বলেছেন, কোনো অবস্থাতেই কোনো খুনের ঘটনা যেন অপমৃত্যু হিসেবে থানায় রেকর্ড না হয়। সে ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটলে তার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে। এসব ঘটনার জন্য থানার অফিসার ইনচার্জ দায়ী হবেন।

গতকাল সকালে রাজারবাগ পুলিশ অডিটোরিয়ামে ডিএমপির মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে এসব কথা বলেন ডিএমপি কমিশনার।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, প্রায় দুই কোটি মানুষ ঢাকা শহরে বসবাস করেন। যানজটসহ নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত আমাদের এই শহর। জুলাই-আগস্টে পুলিশের ভূমিকার জন্য পুলিশের সুনাম ক্ষুণ্ন হয়েছে। এ অবস্থায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ তথা বাংলাদেশ পুলিশ হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনার জন্য নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো মানুষের কাছে যাওয়া, তাদের কথা শোনা এবং নাগরিকদের বলা যে আমরা তাদেরকে সর্বোচ্চ সেবা দিতে চাই।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, পুলিশের অন্যতম প্রধান কাজ হচ্ছে অপরাধীকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে বিচার নিশ্চিত করা। থানায় কোনো অভিযোগ বা জিডি হলে দ্রুততম সময়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এক ঘণ্টার মধ্যে ঘটনাস্থলে যেতে হবে এবং প্রাথমিক অনুসন্ধান করতে হবে। প্রয়োজনে মামলা রুজু করতে হবে। যেকোনো ঘটনায় দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলে পুলিশ সম্পর্কে জনগণের মাঝে ইতিবাচক ধারণা তৈরি হবে।
ডিএমপি কমিশনার আরো বলেন, ছিনতাইকারী, চাঁদাবাজ ও কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এ ধরনের অপরাধ প্রতিরোধে শিক্ষক, ছাত্র-জনতা, শ্রমিকনেতা ও ব্যবসায়ীসহ সমাজের সর্বস্তরের জনগণকে নিয়ে সিটিজেন ফোরাম গঠন করা হবে।
সভায় যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) মো: ফারুক হোসেন নভেম্বর ২০২৪ মাসের সার্বিক অপরাধ পরিস্থিতি তথ্য উপস্থাপন করেন। এরপর নভেম্বর মাসে ঢাকা মহানগরের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও জননিরাপত্তা বিধানসহ উত্তম কাজের স্বীকৃতি হিসেবে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ডিএমপির বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাকে পুরস্কৃত করেন ডিএমপি কমিশনার।