ঘিওরে হরতাল ভাঙচুর অগ্নিসংযোগে সর্বত্র আতঙ্ক
- ঘিওর (মানিকগঞ্জ) সংবাদদাতা
- ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০
মানিকগঞ্জের ঘিওরে বিএনপি নেতা লাভলু আহমেদকে (৩৭) হত্যার প্রতিবাদে উপজেলা সদরে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালিত হয়েছে। গতকাল ঘিওর বাজারের ব্যবসায়ী এবং কুস্তা গ্রামবাসীর ডাকা হরতালে সমর্থন দেয় উপজেলা বিএনপির বেশির ভাগ নেতাকর্মী।
এ দিকে নিহতের মরদেহ মানিকগঞ্জ থেকে ঘিওরে আনার সময় উপজেলা মোড়ে বিক্ষুব্ধরা ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় পুরো উপজেলাজুড়ে সবার মাঝে ভীতিকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। যেকোনো সময় আরো বড় ধরনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কায় আতঙ্কিত তারা।
গত সোমবার ঘিওর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক লাভলু আহমেদকে (৩৭) কুপিয়ে হত্যা করা হয়। মারাত্মক আহত হন আরো ছয়জন। জানা গেছে, উপজেলার কুস্তা এবং উপজেলা মোড়ের বটতলা এ দুই গ্রামবাসীর মধ্যে আধিপত্য বিস্তার ও পূর্বশত্রুতার জের ধরে এই হামলার ঘটনা ঘটে। নিহত লাভলু আহমেদ ২০০৩ সালে ঘিওর উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন।
গতকাল দুপুরে সরেজমিন দেখা যায়, ঘিওর উপজেলা সদরের সব দোকানপাট বন্ধ। উপজেলা সদর থেকে বিভিন্ন রুটে যানবাহন চলাচল ছিল খুবই কম। পরিস্থিতি সামাল দিতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
ঘিওর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান খান কুদরত ও উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান সানি (দুজনেই কুস্তা গ্রামের বাসিন্দা) হরতালের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, প্রকাশ্য দিবালোকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনার একদিন পার হয়ে গেলেও এখনো কোনো আসামি গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এলাকাবাসী আসামিদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করেছে।
এ দিকে ময়নাতদন্ত শেষে গতকাল বিকেল সাড়ে ৪টায় কুস্তা সামাজিক কবরস্থানে নিহতের মরদেহ দাফন করা হয়। এর আগে দুপুর আড়াইটায় লাভলুর লাশ উপজেলা পরিষদের সামনে রেখে বিক্ষোভ করেছেন কুস্তা গ্রাম ও স্থানীয় বাসিন্দারা। এ সময় বিক্ষুব্ধরা উপজেলা সদরের বটতলা এলকায় ৪টি বসতবাড়ি ও একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর চালিয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা