০৬ জানুয়ারি ২০২৫, ২২ পৌষ ১৪৩১, ৫ রজব ১৪৪৬
`

ঢাকার বিরুদ্ধে বাকযুদ্ধে দিল্লির দুশ্চিন্তা

-


বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের সংবাদমাধ্যমগুলোয় অপপ্রচার অব্যাহত থাকার পাশাপাশি দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন অভিমুখে আরএসএস সমর্থকরা মিছিল করেছে। অন্য দিকে আলু-পেঁয়াজের বিকল্প বাজার খুঁজছে বাংলাদেশ, তাই দুশ্চিন্তায় পড়েছে ভারত। বাংলাদেশে উসকানি সৃষ্টি করতে ভারতীয় রাজনীতিবিদদের খিস্তি খেউড় ও বাংলাদেশকে নিয়ে কটাক্ষ বাড়ছে। রেটিংয়ে এগিয়ে আছেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে এবার বসিরহাটের নাকুয়াদহ হাজরাতলা মোড়ের প্রতিবাদ সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন আগামী বছরে নতুন সিনেমা দেখাবেন। সেই সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারী একের পর এক হুঙ্কার দেন। জয় শ্রীরাম ধ্বনি তোলা হয় সভামঞ্চ থেকে। সভায় স্লোগান ওঠে, দুনিয়ার হিন্দু এক হও।

ইন্ডিয়া ডটকমের প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, হাসিনার পতনের পর সব কিছু যেন উলটপালট হয়ে গেছে। এবার ভারতকে বাদ দিয়ে অন্য দেশ থেকে আলু ও পেঁয়াজ কেনার কথা ভাবছে বাংলাদেশ। এতে দুশ্চিন্তায় পড়েছে প্রতিবেশী দেশটি। একদিকে বাংলাদেশের বাজার হারাচ্ছে ভারতীয়রা, অন্যদিকে তাদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান সে সুযোগ পেয়ে যাচ্ছে। আলু এবং পেঁয়াজ কেনার ক্ষেত্রে পাকিস্তানসহ অন্য আরো কয়েকটি দেশ বিকল্প হতে যাচ্ছে। এতে উদ্বেগ বাড়ছে নয়াদিল্লির।
ভারতীয় এই সংবাদমাধ্যমটির দাবি, বাংলাদেশ ঐতিহ্যগতভাবে আলু আমদানির জন্য ভারতের ওপর নির্ভর করে থাকে। আর পেঁয়াজ প্রাথমিকভাবে ভারত এবং মিয়ানমার থেকে নেয়। পাকিস্তান, চীন এবং তুরস্ক থেকেও স্বল্প পরিমাণে পেঁয়াজ আমদানি করে বাংলাদেশ। তবে বর্তমানে ভারতনির্ভরতা কমাতে নয়াদিল্লিকে বাদ দিয়ে পাকিস্তান-তুরস্ক-চীন বা অন্য কোনো দেশ থেকে পেঁয়াজ এবং আলু কিনতে পারে বাংলাদেশ।

ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন বা বিটিটিসি আলু ও পেঁয়াজ আমদানির জন্য বেশ কিছু সম্ভাব্য বিকল্প উৎস চিহ্নিত করেছে এবং এটা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছে। এছাড়া এসব বিকল্প নিয়ে আমদানিকারকদের সাথেও আলোচনা হয়েছে।
ইন্ডিয়া ডটকম বলছে, ভারত থেকে আলু না কিনে বিকল্প উৎস হিসেবে জার্মানি, মিসর, চীন এবং স্পেন থেকে এই আমদানি করার পরিকল্পনা রয়েছে বাংলাদেশের। একইসাথে ভারতকে বাদ দিয়ে চীন, পাকিস্তান এবং তুরস্ক থেকে পেঁয়াজ সংগ্রহ করতে পারে ঢাকা।
এদিকে বাংলাদেশী নাগরিকদের হোটেলের ঘর ভাড়া না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ি শহরের হোটেল মালিকরা। গত সোমবার এমন সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে স্থানীয় হোটেল ব্যবসায়ী সংগঠন। তবে শৈল শহর দার্জিলিংয়ের হোটেল মালিকরা এখনো এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি বলে জানিয়েছে বিবিসি।
আনন্দবাজারের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, এর আগে ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলা এবং পশ্চিমবঙ্গের মালদার হোটেল মালিকরা ঘোষণা করেছিলেন যে, বাংলাদেশী নাগরিকদের তারা ঘর দেবেন না। যদিও পরে আগরতলার হোটেল মালিকরা সে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেন। কারণ হিসেবে তারা জানান, বাংলাদেশী নাগরিকদের ঘর ভাড়া না দেয়ার সিদ্ধান্ত তাদের ব্যবসায় বড় ধরনের ক্ষতি করছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement