রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে ২ জনকে হত্যা
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০৯
রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় দু’টি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। এদের মধ্যে পুরান ঢাকার ওয়ারীর কাপ্তানবাজারে পূর্বশত্রুতার জেরে মোহাম্মদ আল আমিন (২৭) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। অপরদিকে চকবাজারের পোস্তা এলাকায় একটি বাসা থেকে নজরুল ইসলাম (৫২) নামের এক ব্যবসায়ীর হাত-পা ও মুখ বাঁধা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
হাসপাতাল সূত্র ও পুলিশ জানায়, কাপ্তানবাজারে পূর্বশত্রুতার জেরে মোহাম্মদ আল আমিন নামের যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনায় নিহত আল আমিনের ছোট ভাই সুমন (২১) ও বিজয় (১৭) গুরুতর আহত হয়েছেন।
গতকাল বুধবার বিকেল ৪টার দিকে গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের তিনজনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক আলামিনকে মৃত ঘোষণা করেন।
আহত সুমন জানান, গুলিস্তানের পাশে কাপ্তান বাজারে নাটোর বনজ স্টোর নামে একটি শরবতের দোকান আছে। সাত-আট মাস আগে আমার দোকানের সামনে একজন মোটরসাইকেল রেখেছিলেন। তাকে আমি বলেছিলাম আমার দোকানের সামনে না রেখে একটু সাইড করে রাখেন। এ নিয়ে তখন তার সাথে বাগি¦তণ্ডা হয়। আমি ওই লোকটার নামও জানি না।
তিনি জানান, গতকাল প্রথমে সোহান নামে একজনকে নিয়ে সাত-আটজন মিলে আমার দোকানে আসে এবং দোকান ভাঙচুর চালায়। পরে আমার ছোট ভাই বাধা দিলে ২০/২৫ জন এসে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে এবং রড দিয়ে পেটানো শুরু করে। এতে আমার ভাই গুরুতর আহত হয় এবং আমি ও আমার আর এক ছোট ভাই গুরুতর আহত হয়। আমার মাকেও মারধর করে। তিনি জানান, ওয়ারীর বসুবাজার শক্তি গেট এলাকায় তাদের বাসা। বাবার নাম মো: আব্দুল মান্নান।
এদিকে পুরান ঢাকার চকবাজার পোস্তা এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে নজরুল ইসলাম নামের এক ব্যবসায়ীর হাত-পা ও মুখ বাঁধা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
চকবাজার থানা পুলিশ জানায়, নজরুল পোস্তা এলাকার একটি ভবনের পঞ্চম তলায় স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে ভাড়ায় থাকতেন। লালবাগের আলী নগর এলাকায় তার নজরুল ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপ নামের একটি কারখানা আছে। তার বাড়ি নরসিংদীর বেলাব উপজেলায়, বাবার নাম শামছুল হক।
নিহত নজরুল ইসলামের ছোট ভাই তৌহিদুল ইসলাম বলেন, গত শুক্রবার নজরুলের স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে নরসিংদীতে বেড়াতে যান। পোস্তার বাসায় নজরুল একাই ছিলেন। গত সোমবার রাত থেকে তাকে ফোনে পাওয়া যাচ্ছিল না। তাকে না পেয়ে মঙ্গলবার রাতে তার কলেজ পড়ুয়া ছেলে সুমিত ঢাকায় চলে আসে। সুমিত তাড়াহুড়া করে বাসায় গিয়ে বাইরে থেকে তালা খুলে তার (নজরুলের) জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নিয়ে আসে। পরে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে তারা লালবাগ ও চকবাজার থানায় যায়। কিন্তু কোনো থানা জিডি নেয়নি। রাত দেড়টার দিকে পোস্তার বাসায় যায় সুমিত। সুমিতের সাথে তার এক বন্ধুও ছিল। সুমিত বাসার ভেতরে ঢুকে দেখতে পায়, তার বাবার লাশ একটি কক্ষে পড়ে আছে, হাত-পা লুঙ্গি দিয়ে বাঁধা। তার মুখও বাঁধা ছিল। কক্ষগুলোর মালামাল লণ্ডভণ্ড। পরে আশপাশের ফ্ল্যাটের বাসিন্দাদের সহযোগিতায় সুমিত চকবাজার থানায় ফোন করে। পুলিশ এসে নজরুলের লাশ উদ্ধার করে।
তৌহিদুল বলেন, বাড়ির দারোয়ান তার ভাইয়ের সম্পর্কে ঠিকমতো কোনো তথ্য দিতে পারেননি। তিনি তাদের বলেছেন, নজরুলের ব্যবসায়িক মালামাল সন্ত্রাসীরা গাজীপুরে আটকে রেখেছে বলে তার (নজরুল) কাছ থেকে শুনেছেন। তাই নজরুল সেখানে গিয়েছিলেন। কিন্তু এমনটা হলে নজরুলের ওয়ার্কশপের ব্যবস্থাপক অবশ্যই জানতেন। কিন্তু ব্যবস্থাপক বলেছেন, নজরুল সোমবার রাতে ওয়ার্কশপ থেকে বের হন। তারপর তার সাথে আর যোগাযোগ হয়নি। তাই আসলে কী ঘটেছে, তা তারা বুঝতে পারছেন না।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা