৪২ লাখ টাকাসহ প্রতারক চক্রের সদস্য গ্রেফতার

বিদেশে কর্মী পাঠানোর নামে অর্থ আত্মসাৎকারী প্রতারক চক্রের এক সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপির উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ।
গ্রেফতার প্রতারকের নাম মো: হৃদয় রাফসানি শাহজাহান ওরফে কামরুল ইসলাম (৪২)। এ সময় তার কাছ থেকে প্রতারণার ৪২ লাখ ৫ হাজার ২০০ টাকা, ৩০টি বাংলাদেশী পাসপোর্ট, ৪৫টি বেনামে নিবন্ধিত সিম, বিমানের সাতটি নকল টিকিট ও ৯টি বিভিন্ন মডেলের মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে ।
গতকাল সকাল পৌনে ৭টায় টংগীর খাঁ পাড়া বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপি ডিসি (মিডিয়া) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।

তিনি উত্তরা পশ্চিম থানার বরাত দিয়ে বলেন, প্রতারক চক্রটি গত সেপ্টেম্বর মাসে উত্তরা ৯ নং সেক্টর এলাকায় সাহাজাদি এন্টারপ্রাইজ নামে বিদেশে কর্মী পাঠানোর নামে একটি প্রতিষ্ঠান চালু করে। তারা বিদেশে গমনে ইচ্ছুক কর্মীদের লক্ষ্যে উচ্চ বেতনের প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণার ফাঁদ পাতে। তারা অনলাইনে মেসেঞ্জার গ্রুপের মাধ্যমে স্বল্প ব্যয়ে বিদেশে দক্ষ কর্মী পাঠানো ও ভালো চাকরির কথা বলে প্রলুব্ধ করতে প্রচারণা চালায়। গত ২ নভেম্বর ভিকটিম মো: আমিরুল ইসলাম অনলাইনে তাদের প্রচারণা দেখে তাদের সাথে যোগাযোগ করে ও তাদের কথা মতো ওই প্রতিষ্ঠানে যায়। প্রতারক চক্র তাকে মেকানিক্যাল কর্মী হিসেবে তাইওয়ানে পাঠাবে বলে জানায়। এর পর তিনি প্রতারক চক্রকে তাদের কথা অনুযায়ী ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা প্রদান করেন। প্রতারক চক্রটি ভিকটিম আমিরুলসহ আরো ১২ জনকে এক সাথে বিদেশে পাঠানোর কথা বলে তাদের কাছ থেকে ২৬ লাখ ৬৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় এবং তাদেরকে ভিসা ও বিমানের টিকিট প্রদান করে। পরবর্তীতে ভিকটিম জানতে পারেন ভিসা ও বিমানের টিকিটগুলো জাল। এ ঘটনায় ভিকটিম মো: আমিরুল ইসলামের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি প্রতারণার মামলা রুজু হয়। ওই মামলায় কামরুল ইসলামকে গতকাল সকালে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারের সময় কামরুলের কাছ থেকে আত্মসাৎকৃত ২২ লাখ ৫ হাজার ২০০ টাকা উদ্ধার করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী তার স্ত্রীর কাছ থেকে আত্মসাৎকৃত আরো ২০ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়।