চট্টগ্রামে ভারতীয় হাইকমিশন ও ভিসা সেন্টারে নিরাপত্তা জোরদার
- চট্টগ্রাম ব্যুরো
- ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০
চট্টগ্রামের খুলশীতে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশন ও ২ নম্বর গেট এলাকায় ভারতীয় ভিসা সেন্টারে নিরাপত্তা জোরদার করতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। একই সাথে সহকারী হাইকমিশন ও ভিসা সেন্টারের আশপাশের এলাকায় নজরদারির বৃদ্ধি করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)।
জানা যায়, গত সোমবার বিকেল থেকেই চট্টগ্রামে ভারতের সহকারী হাইকমিশন ও ভারতীয় ভিসা সেন্টার এবং আশপাশের এলাকায় এই বাড়তি নিরাপত্তাব্যবস্থা নেয়া হয়। এ দিন ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনের ভেতরে বিক্ষোভ ও ন্যক্কারজনক হামলার ঘটনার পর এ ব্যবস্থা নেয়া হয়।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার (এডিসি) কাজী মো: তারেক আজিজ বলেন, ভারতীয় সহকারী হাইকমিশন ও ভারতীয় ভিসা সেন্টার এলাকাতে বিশেষ কোনো নিরাপত্তা শঙ্কা নয় বা কোনো কিছুর আশঙ্কাও করা হচ্ছে না। তবে আগরতলায় ঘটে যাওয়া ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশন ও ভারতীয় ভিসা সেন্টারে নিরাপত্তা জোরদার করতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। একই সাথে সহকারী হাইকমিশন ও ভিসা সেন্টারের আশপাশের এলাকায়ও কঠোরভাবে নজরদারি করা হচ্ছে।
আগরতলায় বাংলাদেশের হাইকমিশনে হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ
ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার প্রতিবাদে চট্টগ্রামে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। গত সোমবার সন্ধ্যায় নগরীর ষোলশহর রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় এই বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে তারা।
সমাবেশ থেকে হাইকমিশনে হামলা ও বাংলাদেশের জাতীয় পতাকায় আগুন দেয়ার ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করতে ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক রাসেল আহমেদ, সহ-সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি, তানভীর শরীফ, সিয়াম ইলাহি প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
রাসেল আহমেদ বলেন, ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের হাইকমিশনে যে হামলা, ভাঙচুর এবং আমাদের জাতীয় পতাকা পোড়ানোর ঘটনা ঘটেছে, সেই ঘটনার জন্য এ দেশে ভারতীয় হাইকমিশনের কাছে সরকারকে জবাবদিহি চাইতে হবে। জাতীয় পতাকা পোড়ানোর ঘটনায় আমাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে। ভারত সরকারকে বলেছি, যেসব সন্ত্রাসী এ ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের চিহ্নিত করে অবিলম্বে আইনের আওতায় আনতে হবে।
খুলনা ব্যুরো জানায়, ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা ও ফ্ল্যাগস্ট্যান্ড ভেঙে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা খুলে নিয়ে পোড়ানোর প্রতিবাদে খুলনায় মহানগর বিএনপি সোমবার বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে।
নগরীর কে ডি ঘোষ রোডে দলীয় কার্যালয় থেকে মিছিল শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে শেষ হয়। সমাবেশে বিএনপি নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশন কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এস এম শফিকুল আলম মনা। সদস্যসচিব শফিকুল আলম তুহিনের সঞ্চালনায় আরো বক্তৃতা করেন বিএনপির তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, মহানগর যুগ্ম আহ্বায়ক স ম আব্দুর রহমান, সৈয়দা নার্গিস আলী, কাজী মাহমুদ আলী, শের আলম সান্টু, আব্দুল কালাম জিয়া, আবু হোসেন বাবু ও জুলফিকার আলী জুলু।
খুলনায় ভারতীয় সহকারী হাইকমিশন অফিসের নিরাপত্তা জোরদার : খুলনায় ভারতীয় সহকারী হাইকমিশন অফিসের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। নগরীর শামসুর রহমান সড়কের অফিস এলাকায় বিপুলসংখ্যক সেনাসদস্যসহ আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুল গিয়াস বলেন, ভারতীয় সহকারী হাইকমিশন অফিসে নিরাপত্তার জন্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়া সেনাবাহিনীর সদস্যরাও ঘণ্টাদুয়েক মোতায়েন ছিল। সেখানে পুলিশের পাশাপাশি সেনা ও নৌবাহিনীর সদস্যসহ আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর নজদরদারি রয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা