চট্টগ্রাম মহানগর পিপির পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ, গণস্বাক্ষর
- চট্টগ্রাম ব্যুরো
- ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৪১
চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মো: মফিজুল হক ভূঁইয়া ও অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট নেজাম উদ্দীনের পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ ও গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করেছেন আইনজীবীরা। গতকাল সোমবার বিকেলে চট্টগ্রাম আদালত ভবনে এ নিয়ে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। একপর্যায়ে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট নেজাম উদ্দীন পদত্যাগ করেছেন বলে জানা গেছে।
সরেজমিন দেখা যায়, গতকাল সকালে গত ২৬ নভেম্বর চিন্ময় অনুসারীদের বর্বর হামলায় খুন হওয়া অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলার ৯ জন আসামি ও পুলিশের ওপর হামলার মামলার আটজন আসামিকে কারাগার থেকে চট্টগ্রাম আদালতে হাজির করা হয়। এর মধ্যে পুলিশের ওপর হামলার মামলায় আটজন আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে সাতদিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। সেখানে আইনজীবী হিসেবে আসামি মোহাম্মদ দেলোয়ার ও মোহাম্মদ নুরুর পক্ষে ওকালতনামা দেন অ্যাডভোকেট নেজাম উদ্দীন, যিনি একজন সরকারি কৌঁসুলি।
আইনজীবীদের অভিযোগ, একজন অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর হয়ে নেজাম উদ্দীন পুলিশের ওপর হামলা ও অ্যাডভোকেট আলিফ হত্যার সাথে জড়িত আসামিদের পক্ষে আদালতে ওকালতনামা দিয়েছেন। নেজাম উদ্দীন চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি মফিজুল হক ভূঁইয়ার জুনিয়র। বিষয়টি জানাজানি হলে বিক্ষুব্ধ আইজীবীরা বেলা আড়ইটার দিকে আদালত ভবনের তৃতীয় তলায় মহানগর সরকারি কৌঁসুলি কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করে। তারা ওই সময় মহানগর পিপি ও অতিরিক্ত পিপি নেজাম উদ্দিনের পদত্যাগ দাবি করেন। এ সময় সিনিয়র আইনজীবীরা এসে বিক্ষুব্ধ আইনজীবীদের থামান। একপর্যায়ে নেজাম উদ্দিন অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর পদ থেকে লিখিতভাবে পদত্যাগ করেন বলে সূত্র জানায়।
এ দিকে চট্টগ্রাম আদালত ভবনে মহানগর পিপির পদত্যাগের দাবিতে গণস্বাক্ষরতা কর্মসূচি পালন করা হয়। স্বাক্ষর সংগ্রহকারীদের অভিযোগ, সরকারি কৌঁসুলি হয়ে আসামির জন্য ওকালতনামা দিয়েছেন মহানগর পিপির জুনিয়র। ওকালতনামা দেয়া আইনজীবীও একজন সরকারি কৌঁসুলি। সংগৃহীত গণস্বাক্ষর আজ মঙ্গলবার চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা