মেডিক্যাল ও ডেন্টাল ভর্তিতে এসএসসি ও এইচএসসির জিপিএ-কে ১০০ নাম্বার ধরা হবে
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৪৭
মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কলেজে ২০২৪-২৫ শিক্ষা বর্ষে সরকারি ও বেসরকারি উভয় ক্ষেত্রে ভর্তিতে মেধা তালিকা নির্ধারণে ২০০ নম্বরের পরিবর্তে এবার ১০০ নম্বর ধরে মেধা তালিকা নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি)। ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ডা: মো: লিয়াকত হোসেন স্বাক্ষরিত সিদ্ধান্তে বলা হয়েছে, ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর ৪৫ কর্মদিবসের মধ্যেই সরকারি মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কলেজের ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে। এ ছাড়া বেসরকারি মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কলেজে ভর্তিতে অটোমেশন পদ্ধতি থাকবে এবং সরকারি ও বেসরকারি উভয় ক্ষেত্রে একই দিনে ক্লাস শুরু করতে হবে। এই অটোমেশন পদ্ধতি চালু থাকার কারণে বেসরকারি মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কলেজের অবৈধ বাণিজ্য পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে।
সরকারি ও বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার এক মাস পর সরকারি ও বেসরকারি সব ডেন্টাল কলেজ বা ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা হবে। উভয় ক্ষেত্রে অভিন্ন প্রশ্নে পরীক্ষা হবে। লিখিত পরীক্ষায় আগের মতোই ১০০ নম্বর থাকবে এবং প্রতিটি প্রশ্নের জন্য ১ নম্বর হবে। পরীক্ষায় প্রতি ২টি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ কাটা হবে। ভর্তি পরীক্ষায় ৪০ নম্বরের কম নম্বর প্রাপ্তরা দেশে ও বিদেশে এমবিবিএস বা বিডিএস বা সমতুল্য কোনো কোর্সে ভর্তি হতে পারবে না (অকৃতকার্য বলে গণ্য হবে)। অসদুপায় অবলম্বন ঠেকাতে প্রবেশপত্রে আবেদনকারীর ছবির জলছাপ সন্নিবেশিত থাকবে। পরীক্ষার হলে বল পয়েন্ট ছাড়া অন্য কোনো কলম, পেন্সিল, ঘড়ি অথবা কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস নেয়া যাবে না। শুধু পরীক্ষার্থী নয়, পরীক্ষার হলে ইনভিজিলেটর, শিক্ষক, পরিদর্শন টিমের সদস্য, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, অফিস সহকারী, অফিস সহায়ক কেউ মোবাইল ফোনসহ অন্য কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করতে পারবেন না। এমনকি কেন্দ্র প্রধানরাও পরীক্ষার হলে মোবাইল ফোন নিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন না। ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের অব্যবহিত পরের দিনই মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কলেজের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে। এবারও মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানদের জন্য কোটা রাখা হয়েছে তবে আগের বছরের মতো তাদের নাতি-নাতনীদের জন্য কোনো কোটা রাখা হয়নি। উপজাতী ও পার্বত্য চট্টগ্রামের অ-উপজাতীয়দের জন্যও কোটা থাকবে। আগের মতোই প্রার্থীদের মেধা ও পছন্দ অনুযায়ী কোনো প্রতিষ্ঠানের ভর্তি হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে তা এসএমএস’র মাধ্যমে জানানো হবে এবং পরে নির্বাচিত প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হবে।
এবার এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ মোট ১০০ নম্বর হিসেবে নির্ধারণ করা হবে। এসএসসি বা সমমান এবং এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ এবং ভর্তি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে মেধা তালিকা তৈরি করে শিক্ষার্থী নির্বাচন করা হবে। সদ্য এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের এসএসসি বা সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ’র ১০ গুণের সাথে এইচএসসি পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ’র ১০ গুণ এবং ভর্তি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের যোগফলের ভিত্তিতে মেধা তালিকা তৈরি করা হবে। তবে পূর্ববর্তী বছরের এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় পাস প্রার্থীদের ক্ষেত্রে সর্বমোট প্রাপ্ত নম্বর থেকে ৩ নম্বর এবং পূর্ববর্তী বছরের সরকারি মেডিক্যাল অথবা ডেন্টাল কলেজ অথবা ইউনিটে ভর্তিকৃত প্রার্থীদের ক্ষেত্রে সর্বমোট নম্বর থেকে ৬ নম্বর কর্তন করে মেধা তালিকায় অবস্থান নির্ধারণ করা হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা