২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

মালয়েশিয়ায় ১৭ বছর কাটানোর পরও লাশ দেশে এলো প্রবাসীদের টাকায়

-

পরিবারের সচ্ছলতার আশায় ২০০৭ সালে কলিং ভিসায় মালয়েশিয়া পাড়ি জমান চুয়াডাঙ্গার আবদুল হান্নান (৪৪); কিন্তু একে একে হান্নানের জীবন থেকে ১৭ বছর হারিয়ে গেলেও তিনি জীবদ্দশায় সচ্ছলতার মুখ দেখেননি। দীর্ঘ ২৫ দিন রোগ ভোগের পর গত ১৫ নভেম্বর চৌকিটের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন তিনি। তার মৃত্যুর পর নতুন জটিলতায় পড়েন স্বজনরা।
হাসপাতালের চিকিৎসা বিল ও লাশ দেশে আনতে প্রয়োজন ১২ হাজার রিংগিত। কিন্তু পরিবারের পক্ষে এই বিল পরিশোধ সম্ভব না। হান্নান মিয়ার বৈধ পাসপোর্ট ও ভিসা থাকায় শ্রম আইন অনুযায়ী কোম্পানি মালিকের সব ব্যয় বহন করার কথা থাকলেও তিনি তা করেননি। ফলে বিপাকে পড়ে মালয়েশিয়ায় বসবাসরত ছোট ভাই মো: পেল্টু মিয়া কুয়ালালামপুরের বাংলাদেশ দূতাবাসে গিয়ে সহযোগিতার আহ্বান জানালেও কাউন্টারের দায়িত্ব থাকা কর্মীরা কোনো সাড়া দেননি।
পরে প্রবাসীদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে ১২ হাজার রিংগিত (বাংলাদেশী প্রায় সাড়ে তিন লাখ টাকা) সাহায্য তুলে হান্নান মিয়ার লাশ দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। হান্নান মিয়া দীর্ঘ দিন ধরে ফুসফুসের ইনফেকশন ও উচ্চ রক্তচাপে ভুগছিলেন। তাই নিয়মিত কাজ করতে পারেননি। তিনি চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার সিন্দুরিয়া গ্রামের মৃত ওমর আলীর ছেলে। তার এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। ছেলে শারীরিক প্রতিবন্ধী।
এ বিষয়ে কুয়ালালামপুরের বাংলাদেশ দূতাবাসের লেবার উইংয়ের দ্বিতীয় সচিব সুমন চন্দ্র দাস বলেন, বৈধ প্রবাসী মারা গেলে কোম্পানি মালিকের সম্পূর্ণ খরচে লাশ দেশে পাঠানো হয় আর যদি অবৈধ প্রবাসী মারা যান পরিবারের সামর্থ্য না থাকলে দূতাবাসে আবেদন করলে তার লাশ দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। তিনি আরো বলেন হান্নান মিয়ার স্বজনরা নিয়মমাফিক দূতাবাসে আবেদন করলে আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতাম।

 


আরো সংবাদ



premium cement