২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

নতুন ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের হুমকি পুতিন

-

পর্যাপ্ত পরিমাণ শক্তিশালী নতুন প্রযুক্তির হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র মজুদ থাকার কথা জানিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন বলেছেন, তার দেশ ক্ষেপণাস্ত্র যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্যও প্রস্তুত রয়েছে। এক টেলিভিশন ভাষণে পুতিন বলেন, “রাশিয়ার সুরক্ষার জন্য আমরা যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা অব্যাহত রাখব।” রাশিয়া প্রথমবারের মতো ইউক্রেনে নতুন মাঝারিপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার একদিন পরই এই ঘোষণা দিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট।
এ দিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, কিয়েভ রাশিয়ার সাথে ‘নতুন ঝুঁকি’ মোকাবেলায় প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে এক মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, রাশিয়ার কাছে ক্ষেপণাস্ত্রের সংখ্যা সীমিত। তাই প্রতিদিন পরীক্ষামূলক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা তাদের পক্ষে সম্ভব না। মধ্যবর্তী ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর পরিসীমা ৩,০০০-৫,৫০০ কিলোমিটার। এটি রাশিয়া থেকে ইউরোপ বা যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনো জায়গায় আঘাত হানতে সক্ষম। এর আগে পুতিন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনকে তাদের অস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দেয়ার পর ইউক্রেন যুদ্ধ এখন বৈশ্বিক রূপ পাচ্ছে।

যুদ্ধে অংশ নেবে উত্তর কোরীয় সেনারা
এ দিকে রাশিয়ার হয়ে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে লড়তে হাজার হাজার উত্তর কোরীয় সেনা ‘শিগগিরই’ রাশিয়ায় প্রবেশ করতে যাচ্ছে বলে মনে করছে যুক্তরাষ্ট্র। তাদের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে মোতায়েনের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। গতকাল শনিবার পেন্টাগনের প্রধান লয়েড অস্টিন এই কথা বলেছেন বলে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি এক খবরে জানিয়েছে।
ইতোমধ্যেই উত্তর কোরিয়ার প্রায় ১০ হাজার সেনা সীমান্তবর্তী কুরস্কে অবস্থান করছে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশ ফিজিতে একটি যাত্রাবিরতির সময় সাংবাদিকদের অস্টিন বলেন, সেখানে তাদের ‘রুশ সেনাদের সাথে একীভূত করা হচ্ছে।’ এ সময় তিনি আরো বলেন, ‘তাদের যেভাবে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে, রুশ ফর্মেশনে যেভাবে তাদের একীভূত করা হয়েছে, তার ওপর ভিত্তি করে আমি মনে করি, আমরা শিগগিরই তাদের যুদ্ধে নিযুক্ত হতে দেখতে পাব।’ তবে উত্তর কোরিয়ার সেনাদের ‘সক্রিয়ভাবে যুদ্ধে নিয়োজিত’ হওয়ার বিষয়ে ‘উল্লেখযোগ্য প্রতিবেদন দেখেননি’ বলেও জানান তিনি।

দোনেস্কের গ্রাম দখল
অন্য দিকে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে রুশ বাহিনীর অগ্রগতি অব্যাহত রয়েছে। এর মধ্যে সেখানকার আরো একটি গ্রাম দখলের দাবি করেছে রাশিয়া। গত শুক্রবার দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তাদের বাহিনী এবার নোভোদমিত্রিভকা গ্রামটি দখল করেছে। এটিকে একটি ত্বরান্বিত অগ্রগতির সর্বশেষ অর্জন বলে অভিহিত করেছেন রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী আন্দ্রেই বেলোসভ। এ দিকে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী কুরাখোভ শহরের উত্তরে এই গ্রামটির বিষয়ে কোনো কিছু উল্লেখ করেনি। তবে এদিন গভীর রাতে একটি প্রতিবেদনে ইউক্রেনের জেনারেল স্টাফ উল্লেখ করেছেন, এই গ্রামটি সেসব আটটি গ্রামের একটি যেখানে রুশ বাহিনী যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছিল এবং অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করছিল।


আরো সংবাদ



premium cement