সাগরে সৃষ্টি হচ্ছে লঘুচাপ ঢাকার বাইরে শীতের আমেজ
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩২
বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপের সৃষ্টি। এটা ঘূর্ণিঝড় না হলেও শেষ পর্যন্ত নি¤œচাপ পর্যন্ত গড়াতে পারে। এর প্রভাবে কিছুটা বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান জানান, লঘুচাপের প্রভাব শেষ হলে সারা দেশে শীতের মাত্রা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকবে। লঘুচাপটি সৃষ্টি হতে পারে আগামীকাল শুক্রবারের কোনো এক সময়। তা ঘনীভূত হয়ে নি¤œচাপে পরিণত হতে ২ থেকে ৩ দিন লেগে যেতে পারে। নি¤œচাপ হলেও তা থেকে ঘূর্ণিঝড় হওয়ার আশঙ্কা খুব বেশি নেই।
আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান আরো বলেন, ঘূর্ণিঝড় না নি¤œচাপ আকারেই এটা সোজা পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে শ্রীলঙ্কার দিকে চলে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। নভেম্বরে এটা হবে শেষ নি¤œচাপ। নভেম্বরে মাসে সাধারণত বঙ্গোপসাগরে একটি ঝড় হয়ে থাকে কিন্তু এবার আর কোনো ঝড়ের শঙ্কা নেই।
নভেম্বরের দুই-তৃতীয়াংশ সময় চলে গেলেও ঢাকায় এখন দিনের বেলা গরম অনুভূত হলেও শেষ রাতে বৈদ্যুতিক পাখা বন্ধ করেই ঘুমাতে হয়। ঘরের বাইরে হাঁটাহাঁটি করলে এখনো ঘাম হচ্ছে। আবহাওয়া অফিস বলছে, ঢাকায় ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহের আগে শীত না পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর কারণ ঢাকায় দিন-রাত সব সময়ই অনেক গাড়ি চলাচল করে। গাড়ির ইঞ্জিনের গরমসহ রাজপথ ও ভবনগুলো তাপ শোষণ করে রাখে বলে রাতেও গরমটা থেকে যায়। ঢাকায় গরম থাকলেও দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কিন্তু এখনো ঢাকার বাইরে বিভিন্ন জেলায় রেকর্ড হয়ে থাকে।
অন্য দিকে ঢাকার বাইরে গ্রামের দিকে ইতোমধ্যে শীতের আমেজ অনুভূত হচ্ছে। আজ বৃহস্পতিবার দেশের সর্বত্রই তাপমাত্রা গতকালকের চেয়ে আরো কিছুটা হ্রাসের সম্ভাবনা আছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। সকালে ঘাসের ডগায় শিশুর বিন্দু জমতে দেখা যাচ্ছে, রাতে গাছের পাতা থেকে শিশির জমা পানির টুপটাপ শব্দে ঘুম ভাঙে অনেকের। বিশেষ করে ঘরের ওপর যাদের পাতা বিশিষ্ট বড় গাছ রয়েছে তারা টিনের চালে শিশির ঝড়ে পড়ার শব্দ বেশ ভালো করেই টের পাচ্ছেন। প্রকৃতিতেও শীতের প্রভাব লক্ষ করা যাচ্ছে। পত্রপতনশীল অনেক গাছের পাতা পড়তে শুরু করেছে। শুষ্কতা শুরু হওয়ার পাশাপাশি মাটি শুকিয়ে যেতে শুরু করেছে। অনেক গাছের ক্ষেত্রে পানির প্রয়োজন পড়ছে। একদিন পানি দিতে না পারলে পরের দিন গাছ নেতিয়ে পড়ার ঘটনা ঘটছে। শুষ্ক ত্বকের মানুষকে এখনি মুখে ও গায়ে আর্দ্রতা ধরে রাখার জন্য লোশন অথবা পেট্রলিয়াম জাতীয় জেলি ব্যবহার করতে হচ্ছে। দোকানদাররা বলছেন, পেট্রলিয়াম জেলি ও লোশন জাতীয় প্রসাধনের বিক্রি বেড়েছে।
সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত নেমেছে। গতকাল বুধবার পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় এই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। দেশের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতে রাতের তাপমাত্রা শীত পড়ছে মনে করিয়ে দিচ্ছে। গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল সন্দ্বীপে ৩২.২।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা