১৮ নভেম্বর ২০২৪, ৩ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ১৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

কলাপাড়ায় হাসপাতালগুলোর চিকিৎসাসেবার বেহালদশা

-


পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলায় তিনটি সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসাসেবার মান নিতান্তই নাজুক অবস্থার মধ্যে পড়েছে। চিকিৎসক সঙ্কটসহ উপজেলার তিনটি হাসপাতালে কর্মচারী সঙ্কটও তীব্র আকার ধারণ করেছে। জানা যায়, জনবল সঙ্কটের কারণে কলাপাড়ার ৫০ শয্যা হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা এখন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। একই দশা উপজেলার কুয়াকাটা ২০ শয্যার হাসপাতাল ও মহিপুর উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রেরও।
সরজমিন দেখা গেছে, কলাপাড়া হাসপাতালের বহির্বিভাগে প্রতিদিন গড়ে ৩০০-৩৫০ রোগি চিকিৎসাসেবা নিতে আসেন। মাত্র তিন-চারজন চিকিৎসক তাদের অফিস চলাকালীন এই বিশাল পরিমাণ রোগীর চিকিৎসাসেবা দিতে পারেন না। বাধ্য হয়ে ভিজিট দিয়ে রোগীদের অফিস সময়ের পরে বাইরে চিকিৎসকের চেম্বারে গিয়ে সেবা নিতে হয়। এতে করে সমস্যায় পড়েন দরিদ্র রোগীরা। একইভাবে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর চাপও অনেকে বেশি।

৫০ শয্যার উপজেলা সদরের হাসপাতালটিতে গিয়ে দেখা যায়, শয্যার চেয়ে ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি। কলাপাড়া উপজেলা সদরসহ কুয়াকাটা এবং মহিপুর নিয়ে মাত্র ১১ জন চিকিৎসক কর্মরত রয়েছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য প্রশাসককে অধিকাংশ সময় প্রশাসনিক নানা কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়। এর মধ্যে একজন চিকিৎসক প্রেষণে পটুয়াখালী রয়েছেন। অথচ চিকিৎসকের পদ রয়েছে ৩৬টি। কলাপাড়া উপজেলা সদরে মাত্র চারজন চিকিৎসক বহির্বিভাগে দৈনিক তিনশ’ থেকে সাড়ে তিনশ’ রোগীর চিকিৎসাসেবা সামাল দিচ্ছেন। এমন বিশাল অঙ্কের রোগীকে সামাল দিতে একেকজন রোগীকে ৫ মিনিটের বেশি সময় দিতে পারছেন না চিকিৎসক।
একইভাবে কর্মচারীর ৭৬টি পদ খালি রয়েছে। হাসপাতালে সমস্যার যেন অন্ত নেই। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করাতে হয় আউটসোর্সিংয়ের জনবল দিয়ে। একই দশা কুয়াকাটা হাসপাতালেরও।


আরো সংবাদ



premium cement