১৮ নভেম্বর ২০২৪, ৩ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ১৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

পাবনায় শুঁটকি উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার শঙ্কা

-

পাবনার নদ-নদী ও বিল পাড়ে শুঁটকি মাছ উৎপাদন চলছে পুরোদমে। এবার অঞ্চলভেদে এ জেলায় মাছের উৎপাদন কমেছে। এ কারণে জেলায় এবার শুঁটকি উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করছেন চাতাল মালিকরা। এদিকে শুঁটকি মাছ সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতের ব্যবস্থা না থাকায় চাতাল মালিক ও ব্যবসায়ীরাও বিপাকে পড়েছেন।
পাবনা জেলায় মোট ১৬টি নদী ও ২১২টি বিল রয়েছে। জেলার মৎস্যভাণ্ডার হিসেবে সুপরিচিত হলো গাজনার বিল। এটি ১৬টি বিল ও পাঁচটি নদীর সমন্বয়ে গঠিত। গাজনার বিলের নদ-নদীর তলদেশ ভরাট হয়ে যাওয়া এবং বিলে পর্যাপ্ত পানি না থাকায় মৎস্য প্রজনন চরমভাবে ব্যাহত হয়। সেই সাথে উৎপাদন কমে যায় মাছের। তবে কাজলকুড়া, ধলকুড়া, ঘুঘুদাহ বিল, মুক্তাধর বিল, সোনাই বিল, জামাইদহ বিল, বড়গ্রাম বিল, খোলসাখালি বিল, কাটিয়াদহ বিল, আফড়া বিল, গাঙভাঙ্গার বিল, টেংড়াগাড়ীর বিলসহ অন্যান্য বিল ও নদীতে জেলেদের জালে মাছ ধরা পড়ছে। ব্যসায়ীরা বড় বড় মাছ ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করছেন। ছোট ছোট দেশী প্রজাতির বিভিন্ন মাছ জেলেরা শুঁটকি চাতাল মালিকদের কাছে বিক্রি করছেন। এই মাছ দিয়ে সুস্বাদু শুঁটকি তৈরি হচ্ছে।
পাবনা মৎস্য অধিদফতর সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে জেলার অর্ধশত চাতালে ১৫৮ টন শুঁটকি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা গত বছরের চেয়ে ১৫ টন বেশি। ১৫৮ টন শুঁটকি উৎপাদনে প্রায় ৪৭৪ টন কাঁচা মাছের প্রয়োজন হয়। এদিকে চলতি শুঁটকি মৌসুমে জেলার নদ-নদী ও বিলে জেলেদের জালে গত বছরের চেয়ে কম মাছ ধরা পড়ছে।

 

 


আরো সংবাদ



premium cement