রাজধানীতে নবান্ন বরণ
- সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক
- ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৪৭
আগ্রহায়ণের প্রথম দিনে নানা আয়োজনে নবান্নকে বরণ করেছে রাজধানীবাসী। ভোরের সূর্যের আলো ফোটার সাথে সাথেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলায় বসে নবান্ন উৎসব। ‘এসো মিলি সবে নবান্নের উৎসবে’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে চারুকলা অনুষদের উদ্যোগে শুরু হয় নবান্ন উৎসব ১৪৩১।
নতুন ধান ঘরে তোলার সময় গ্রামীণ জনপদে যে উৎসবের ছোঁয়া লাগে, চার দিক মৌ মৌ করে পিঠা-পুলি, পায়েসের মিষ্টি সৌরভ, তার কিছুটা আমেজ ব্যস্ত নগরে ছড়িয়ে দিতে প্রতি বছরের মতো এবারো ঢাবি চারুকলা অনুষদের বকুলতলায় আয়োজন করা হয় ‘নবান্ন উৎসব’।
গ্রামীণ সংস্কৃতির সবচেয়ে প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী এ উৎসব যাতে হারিয়ে না যায় সে জন্য প্রতি বছর এ আয়োজন করা হয়। যান্ত্রিক জীবনে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে শেকড়ের আনন্দ ছড়িয়ে দিতে ঢাবির চারুকলায় বছরের পর বছর ধরে চলছে এমন আয়োজন।
সকাল সাড়ে ৭টায় বাঁশি বাজার মধ্য দিয়ে শুরু হয় উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা। চলে রাত পর্যন্ত। পিঠাপুলি, বাহারি পোশাক, রঙিন সজ্জায় বাঁশির মায়াবী ধ্বনি, নাচ, গান আর আবৃত্তিতে অগ্রহায়ণের প্রথম সকালে চারুকলার বকুলতলা মুখর হয়ে ওঠে।
এবারের আয়োজনে শিশুদের পরিবেশনাকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন উৎসব উদযাপন পর্ষদের সহসভাপতি মানজার চৌধুরী সুইট। উৎসব সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বৈষম্যবিরোধী অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে তোলার প্রত্যয় নিয়ে এ উৎসবের আয়োজন করা হয় দু’টি পর্বে।
সকালে প্রথম ভাগে শিল্পীরা নানা পরিবেশনায় অংশ নেন। পরে বেলা ২টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত চলে দ্বিতীয় ভাগের পরিবেশনা। সঙ্গীতশিল্পী, নৃত্যশিল্পী, আবৃত্তি শিল্পীরা একক ও দলীয় বিভিন্ন পরিবেশনা তুলে ধরেন। একই সাথে ছিল ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শিল্পীদের পরিবেশনাও।
উদযাপন পর্ষদের সহসভাপতি বলেন, ঢাকায় নবান্ন উৎসবের ধারাবাহিক এই আয়োজন ২৫ বছর পূর্ণ করে ২৬-এ পা রেখেছে।
নগরের তরুণ প্রজন্মকে গ্রামীণ সংস্কৃতির সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়ার লক্ষ্য নিয়ে ১৯৯৯ সাল থেকে আমরা এই আয়োজন করে আসছি। উৎসবে আসা সবাইকে পিঠা, খৈ, মুড়কি, মোয়া, মুরালি, বাতাসা ইত্যাদি দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা