১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

ভয়ঙ্কর মিথ্যাচার ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিষয়ে নর্দান ইউনিভার্সিটির উদ্বেগ

শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দুর্বৃত্তদের শাস্তি চায়
-


নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ দেশের খ্যাতনামা একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। এখানে রয়েছে প্রায় ১৩ হাজার শিক্ষার্থী, ৪০০ শিক্ষক ও ৫০০ কর্মকর্তা-কর্মচারী। রাজধানীর দক্ষিণখান থানা এলাকায় নিরিবিলি পরিবেশে নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের নিজস্ব ক্যাম্পাস। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. আবু ইউসুফ আব্দুল্লাহ দেশের অন্যতম শিক্ষা উদ্যোক্তা। তিনি অনেকগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএর পরিচালক।
ড. আবু ইউসুফ আব্দুল্লাহ ২০১১ সালে ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেয়ার পর ৯.৫ বিঘা জমি কিনে প্রতিষ্ঠা করেছেন এই সুবিশাল ক্যাম্পাস। পাঁচ বিঘার ওপর দু’টি বেজমেন্টসহ আটতলা অত্যাধুনিক ভবন নির্মাণ করেন। খেলার মাঠ সম্প্রসারণের জন্য কিনেছেন ৪.৫ বিঘা জমি। সেখানে রয়েছে কম্পিউটার ল্যাব, আধুনিক প্রযুক্তির শিক্ষাব্যবস্থা, স্বনামধন্য শিক্ষক, গেমসের ব্যবস্থা। সময়মতো অনুষ্ঠিত হয় সমাবর্তন।

সাম্প্রতিককালে বোরহান উদ্দিন ও লুৎফর রহমান সানি নামে দুই সন্ত্রাসীর লোলুপ দৃষ্টি পড়ে এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। তারা ব্যক্তিস্বার্থে সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাস ও করপোরেট অফিসে তিন দফা হামলা করেছে। এতে ২০ জন আহত হয়। প্রায় ৮০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এই হামলার ঘটনায় ওই দুই সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে দক্ষিণখান থানায় দু’টি মামলা হয়েছে। ওই মামলায় তারা যৌথবাহিনীর হাতে গ্রেফতার হয়ে হাজতও খেটেছেন।
এই দুই সন্ত্রাসী প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ও তার সন্তান এবং কর্মকর্তাদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে চলেছে। মিথ্যা মামলার আসামি হয়ে উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ট্রাস্টি মেম্বার ও কর্মকর্তারা সামাজিক, মানসিক ও পারিবারিকভাবে বিপর্যস্ত। সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক ট্রাস্টি মেম্বারদের পতিত সরকারের হিসাবে প্রতিষ্ঠার অপচেষ্টা করে যাচ্ছে ওই দুই সন্ত্রাসী।

সন্ত্রাসী বোরহান উদ্দিন ও লুৎফর রহমান এসব মামলাকে বাণিজ্য হিসেবে নিয়েছে। তারা বিভিন্ন লোকজনকে ট্রাস্টি বানানোর প্রলোভন দেখিয়ে হাতিয়ে নিয়েছে বিপুল অঙ্কের টাকা। সেই অবৈধ টাকায় গড়েছে সন্ত্রাসী বাহিনী। হলুদ সাংবাদিকদের খুশি করে অনলাইন ও সোশ্যাল মিডিয়ায় অপপ্রচার চালিয়ে সাধারণকে বিভ্রান্ত করছে। বিশৃঙ্খলতা সৃষ্টি করে শিক্ষার্থীদের নানা রকম প্রলোভন দেখিয়ে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত। ইতঃপূর্বে তারা একটি অযৌক্তিক দাবি নিয়ে আদালতের শরণাপন্ন হলেও ভ্যালিড ডকুমেন্ট না থাকায় তাদের আরজি আদালতে বাতিল হয়ে যায়।

এরপর তারা কোর্টের বাইরে অর্থের বিনিময়ে দফা-রফার জন্য সন্ত্রাসী পথে হাঁটছে। তারা তিন শতাধিক সন্ত্রাসী নিয়ে গত ৩১ অক্টোবর ইউনিভার্সিটিতে হামলা করে ভাঙচুর চালায়। শিক্ষক, কর্মকর্তা, শিক্ষার্থীরা পাল্টা ধাওয়া দিলে সন্ত্রাসী দল পালিয়ে যায়। ধরা পড়েন সন্ত্রাসী সর্দার বোরহান উদ্দিন ও লুৎফর রহমান সানি। তাদের যৌথবাহিনীর কাছে সোপর্দ করে শিক্ষার্থীরা।
নর্দান ইউনিভার্সিটি দখলের উদ্দেশ্যে কয়েকজন কুচক্রী তাদের মদদ দিচ্ছে। যার ফলে বিশ্ববিদ্যালয় ভাঙচুরের ঘটনা প্রত্যক্ষ করার পরও মামলা নিতে গড়িমসি করে। পরে শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে মামলা নিতে বাধ্য হয় থানা কর্তৃপক্ষ। এই দুই সন্ত্রাসী ৮ আগস্ট নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ও ২৬ আগস্ট করপোরেট অফিসে হামলা চালায়। একাজে তারা নর্দান মেডিক্যালের কিছু শিক্ষার্থীকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করে। তাদের আড়ালে ছাত্রলীগের কিছু সন্ত্রাসী দিয়ে হামলা চালায়। তাদের হামলার সব ফুটেজ সংরক্ষিত আছে। বিজ্ঞপ্তি।


আরো সংবাদ



premium cement