১৪ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন

আওয়ামী লীগের ৫ নেতা গ্রেফতার

-

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যা ও হত্যাচেষ্টা মামলায় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের পাঁচ আসামিকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। গত রোববার রাতে রাজধানীর খিলগাঁও ও কলাবাগান থানা পুলিশ পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে। গতকাল গ্রেফতারের বিষটি নিশ্চিত করেন ডিএমপির ডিসি (মিডিয়া) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।
তিনি জানান, বনশ্রীতে সৈয়দ নাজমুল হাসান (২৩) হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগের তিন নেতা হলেন, খিলগাঁও ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য মো: বাবুল ওরফে কসাই বাবুল (৫৪), খিলগাঁও থানার শান্তিপুর ইউনিট আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আজিজুল হক মুকুল (৪৯) ও পল্টন ছাত্রলীগের সাবেক সম্পাদক ফাহাদ উল্লাহ (৪০)।
এ ছাড়াও রাজধানীর কলাবাগান থানার শ্রমিক দলের সভাপতি রাসেল হাওলাদার, দফতর সম্পাদক মো: রিয়াজ (৩৫) কৃষক দল নেতা ওসমান গণিকে হত্যাচেষ্টা মামলায় কলাবাগান থানা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি কাউছার হাওলাদার (৫৫) ও নিউ মডেল ডিগ্রি কলেজের সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি হাসান আল রোমান (৩২)।

খিলগাঁও থানা সূত্রে জানা যায়, গত ১৯ জুলাই বিকেল সাড়ে ৩টায় বনশ্রী জি ব্লকের ১ নম্বর রোডে হাজার হাজার ছাত্র-জনতা কোটা সংস্কারের জন্য শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছিলেন। ওই দিন নাজমুলও ফিজিওথেরাপি টেকনিশিয়ান সৈয়দ নাজমুল হাসান আফতাব নগরে তার বাসা থেকে বনশ্রী রাজি হাসপাতালে যাচ্ছিলেন। এ সময় আন্দোলনরত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার ওপর হামলা চালায় আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। আক্রমণকারীরা ককটেল বিস্ফোরণসহ এলোপাথাড়ি গুলিবর্ষণ করলে নাজমুল বুকে ও পিঠে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ ঘটনায় নিহতের আত্মীয় আব্দুল মালেক বাদি হয়ে ১৩ অক্টোবর খিলগাঁও থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
কলাবাগান থানা সূত্রে জানা যায়, গত ৪ আগস্ট আন্দোলনরত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার একটি শান্তিপূর্ণ মিছিল পান্থপথ সিগন্যাল থেকে সাইন্স ল্যাবরেটরির উদ্দেশ্য রওনা করে। দুপুর সোয়া ১২টায় গ্রিন লাইফ হাসপাতালের সামনে পৌঁছলে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা শান্তিপূর্ণ মিছিলে হামলা চালায়। তাদেরর হামলায় শ্রমিক দলের সভাপতি রাসেল হাওলাদার, দফতর সম্পাদক মো: রিয়াজ (৩৫) ও কৃষক দলের নেতা ওসমান গণি গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। এই ঘটনায় কাজী ইয়াদ মইনুদ্দিন বাদি হয়ে ৭ নভেম্বর কলাবাগান থানায় একটি হত্যা চেষ্টার মামলা করেন। গ্রেফতারকৃদের আদালাতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement