১৪ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

আজ নূর হোসেন চত্বরে জড়ো হওয়ার পরিকল্পনা আ’লীগের

-


শহীদ নূর হোসেন দিবস আজ। বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের এক ঐতিহাসিক দিন। স্বৈরাচার হটানোর আন্দোলনে যোগ দিয়ে ১৯৮৭ সালের এ দিনে রাজধানীর জিরো পয়েন্ট এলাকায় পুলিশের গুলিতে নিহত হন তিনি। প্রতিবছর এ দিনে গুলিস্তানের জিরো পয়েন্ট নূর হোসেন চত্বরে সরকারি দল, বিরোধী দলসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ফুল দিয়ে গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে শহীদ নূর হোসেনকে স্মরণ করে।

দিবসটিকে ঘিরে এবার গত ৫ আগস্ট থেকে আত্মগোপনে থাকা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা শহীদ নূর হোসেন চত্বরে জড়ো হওয়ার পরিকল্পনা করেছে। আজ বিকেল তিনটায় পৃথক পৃথকভাবে পুলিশ, র‌্যাবের চোখ এড়িয়ে নেতাকর্মীদের সেখানে যাওয়ার জন্য ভেতরে ভেতরে প্রচারণা চালাচ্ছেন বলে দলটির নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে।
দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে বলা হয়েছে, ১০ নভেম্বর জিরো পয়েন্টে, নূর হোসেন চত্বরে আসবেন? পুলিশ, র‌্যাব, সেনাবাহিনীর বাধা কিভাবে ফাঁকি দেবেন? দলবদ্ধভাবে নয়, আসবেন একা একা। বিভিন্ন রুট চেঞ্জ করে গুলিস্তান পৌঁছাবেন। সাথে মোবাইল থাকলেও সেই মোবাইলে কোনো ছবি, কোনো ওয়ালপেপার রাখবেন না, যাতে আপনাকে আওয়ামী লীগ হিসেবে চিহ্নিত করতে পারে। যদি কোনো বাধা আসে, অবশ্যই কোনোরকম ভাঙচুর বা নাশকতার ফাঁদে পা দেবেন না। আওয়ামী লীগ সরকারি সম্পদ, দেশের মানুষের সম্পদ ধ্বংসের রাজনীতি করে না। সাধারণ মানুষকে সাথে নেয়ার জন্য প্রচারণা চালাবেন।

মহানগর আওয়ামী লীগের এক শীর্ষ নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সাথে সম্প্রতি মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের এক সময়কার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এফ এম শরীফুল ইসলামের একটি কথপোকথন সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়। ওই কথপোকথনের সূত্র ধরে দক্ষিণ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন আহমেদ মহি ১০ নভেম্বর বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি সফল করার জন্য তার সমর্থিতদের মধ্যে প্রচারণা চালাচ্ছেন। বিক্ষোভ মিছিলটি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হবে- এমন একটি ব্যানার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাসছে। যদিও নেতাকর্মীদের জড়ো হওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় থেকে কোনো নির্দেশনা নেতাদের কাছে যায়নি বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মহানগরের একাধিক নেতা এ প্রতিবেদককে জানান। ওই নেতারা বলেন, মাঠের পরিস্থিতি বোঝার জন্য ১০ নভেম্বর বিকেল তিনটায় শহীদ নূর হোসেন চত্ব¡রে সারা দেশ থেকে নেতাকর্মীদের জড়ো হওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। উপস্থিত সকলের হাতে থাকবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ছবি সংবলিত প্লাকার্ড।

তবে এক নেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, নেতারাতো সবাই আত্মগোপনে। উনারাতো কেউ থাকবেন না! কর্মীদের বিপদে ফেলার জন্য ফেসবুকে এ ধরনের প্রচারণা চালিয়ে মাঠ গরম করা হচ্ছে। এ যে মহিউদ্দিন আহমেদ মহি উনিতো ভারতে পালিয়ে গেছেন। তিনি কি মাঠে থাকবেন? এ যে শরীফুল ইসলাম তিনি কি বিক্ষোভ কর্মসূচিতে যোগ দেবেন? তাহলে বিপদে পড়বে কে? তৃণমূল পর্যায়ের কিছু খেটে খাওয়া ত্যাগী কর্মীরা। তাদের কোনো সময়ই মূল্যায়ন করা হয় না। কিন্তু বিপদের সময় তাদের ব্যবহার করা হয়।

 

 


আরো সংবাদ



premium cement
এলএনজি টার্মিনালের দরপত্র প্রক্রিয়া নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে পেট্রোবাংলা! জোড়া শতকে কিউইদের বিপক্ষে বড় জয় শ্রীলঙ্কার গাজার যুদ্ধে ‘প্রকৃত বিরতির’ আহ্বান ব্লিংকেনের পার্লমেন্টে আস্থা ভোট দেবেন জার্মান চ্যান্সেলর বাতাসে কদবেলের ঘ্রাণ! জাতিসঙ্ঘের জলবায়ু সম্মেলনে অভিজ্ঞতা বর্ণনা করলেন বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা ইউক্রেনকে আরো সহায়তা দিতে ব্লিংকেনের প্রতিশ্রুতি ইমরানের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভে উত্তাল পাকিস্তান হলের সিট বণ্টন নিয়ে উত্তপ্ত কুবি, প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবি করাচি থেকে প্রথম সরাসরি কার্গো পৌঁছেছে চট্টগ্রামে মুখরোচক খাবারে সরগরম লক্ষ্মীবাজারের স্ট্রিট ফুড

সকল