ইনসাফভিত্তিক সমাজ গঠনে ইসলাম শিক্ষার বিকল্প নাই
- ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০
বরিশালের এইচএসটিটিআই মিলনায়তনে ইসলামী শিক্ষা উন্নয়ন বাংলাদেশ বরিশাল বিভাগের উদ্যোগে গতকাল অধ্যাপক মুহাম্মাদ মোয়াজ্জেম হোসাইনের সভাপতিত্বে এবং মহাসচিব অধ্যাপক সাইয়েদ আহমাদের সঞ্চালনায় ইনসাফভিত্তিক সমাজ গঠনে ইসলাম শিক্ষার বিকল্প নেই শিরোনামে এবং শিক্ষার সর্বস্তরে ধর্মশিক্ষা বহালের দাবিতে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী শিক্ষা উন্নয়ন বাংলাদেশের মহাসচিব উপাধ্যক্ষ মো: আবদুর রহমান, বিশেষ অতিথি ছিলেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিজিটিং প্রফেসর আবুল কাশেম আবদুল হাকিম মাদানী, ড. মো: মহিউদ্দিন, প্রফেসর আ জ ম হাবিবুর রহমান, অধ্যক্ষ মো: হাবিবুর রহমান, অধ্যক্ষ আ ন ম আবদুল হালিম, ড. মো: মশিউর রহমান। আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, বরিশালের জেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, মো: আমিনুল ইসলাম সহকারী অধ্যাপক, মো: মোশাররফ হোসেন সহকারী অধ্যাপক, ড. বায়েজিদ হোসেন সহকারী অধ্যাপক, ড. আকরামুজ্জামান নকীব সহকারী অধ্যাপক প্রমুখ, ইবতেদায়ী স্তরের সংগঠনের দায়িত্বশীলগণ প্রধান অতিথি শিক্ষার সর্বস্তরে ইসলামী শিক্ষা বাস্তবায়নের আহ্বান জানান।
ইসলামী শিক্ষা উন্নয়ন বাংলাদেশের মহাসচিব উপাধ্যক্ষ মো: আবদুর রহমানসহ বক্তারা ১৬ দফা দাবি পূরণের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান- ১. বেসরকারি মাদরাসা, কলেজ, হাইস্কুল জাতীয়করণ করতে হবে; ২. স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা বিগত ১৬ বছর থেকে মঞ্জুরির বদ্ধ দ্বার খুলতে হবে; ৩. মঞ্জুরি প্রাপ্ত স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসাসমূহকে জাতীয়করণের আওতাভুক্ত করতে হবে; ৪. অনতিবিলম্বে স্বতন্ত্র এবতেদায়ি মাদরাসা নীতিমালা বাস্তবায়ন করতে হবে; ৫. বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারীদের সরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের সমপরিমাণ উৎসবভাতা, বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ভাতা দিতে হবে; ৬. মাদরাসার স্বকীয়তা ও যোগ্য আলেম তৈরির লক্ষ্যে মাদরাসার জন্য আলাদা পাঠ্যক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (ঘঈঞইগ) গঠন করতে হবে;
৭। মাদরাসার অনার্স ও মাস্টার্স কোর্সের জন্য শিক্ষক-কর্মচারী বরাদ্দ ও এমপিওভুক্ত করতে হবে; ৮. মাদরাসা পাঠদানরত ২ শতাধিক এমফিল পিএইচডিধারীগণকে অভিজ্ঞতা শিথিল করে প্রশাসনিক পদে এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠিত দফতরে পদায়ন করতে হবে; ৯. মাদরাসা বোর্ড, মাদরাসা শিক্ষা অধিদফতর, ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়, মাদরাসা শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, দেশের তিনটি সরকারি আলিয়া মাদরাসার সব পদে মাদরাসা ও ইসলামী শিক্ষায় শিক্ষিতদের পদায়ন ও নিয়োগ দিতে হবে; ১০. এনটিআরসির নিবন্ধন পরীক্ষা ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী শিক্ষায় অনার্স উত্তীর্ণদের অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে হবে; ১১. জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সব কলেজে ইসলামিয়াত ও অনার্স কোর্স খোলার অনুমতি দিতে হবে; ১২. ইসলাম শিক্ষাকে প্রাক-প্রাথমিক থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত মানবিক, বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা, গার্হস্থ্য, অর্থনীতি, কারিগরিসহ সব শাখায় আবশ্যিক বিষয় হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। উচ্চ শিক্ষা পর্যায়ে মেডিক্যাল, ইঞ্জিনিয়ারিং, তথ্য-প্রযুক্তি, শিক্ষক প্রশিক্ষণ ও সরকারি উচ্চতর প্রশিক্ষণে এবং বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের প্রতিটি বিভাগে ধর্মশিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে; ১৩. শতকরা ৯০ ভাগ মুসলমানের দেশে শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে যোগ্য আলেমগণকে সম্পৃক্ত করে ঈমান-আকিদাভিত্তিক ও বিজ্ঞান প্রযুক্তির সমন্বয়ে পাঠ্যক্রম প্রণয়ন ও পাঠ্যপুস্তক রচনা করতে হবে; ১৪. দেশের অবহেলিত ও বঞ্চিত তিনটি সরকারি আলিয়া মাদরাসাকে উন্নয়নের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে এবং ১৫. প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ, ১৬. হাই স্কুলে পূর্বের ন্যায় একজন হেড মাওলানা ও একজন সহকারী মৌলভী নিয়োগের দাবি জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা