সংবিধানকে অত্যাচারের বিরুদ্ধে সুরক্ষাকবচ হিসেবে দাঁড় করাতে হবে
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:২০
’৭২ এর সংবিধান প্রণয়ন কমিটির প্রধান, বিশিষ্ট আইনজীবী ড. কামাল হোসেন বলেছেন, সাম্প্রতিক ঘটনাবলির পরে আমরা দেখতে পেরেছি, আমাদের আইন ও প্রাতিষ্ঠানিক সুরক্ষাগুলোকে আরো দৃঢ় করতে হবে। আমাদের স্বাধীন বিচারব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। সুষ্ঠু নির্বাচন প্রক্রিয়া বজায় রাখতে হবে। সকল স্তরে স্বচ্ছতা আনতে হবে। আমাদের সংবিধানকে অত্যাচারের বিরুদ্ধে একটি সুরক্ষা কবচ হিসেবে দাঁড় করাতে হবে। যার সুরক্ষাবলয়ে কোনো নাগরিক অবিচার এবং অন্যায়ের আশঙ্কায় জীবন যাপন করবে না।
তিনি বলেন, আমাদের নতুন প্রজন্মকে সাথে নিয়ে কাজ করতে হবে। দেশের মানুষের আকাক্সক্ষাকে প্রাধান্য দিতে হবে। একটি গণতান্ত্রিক, ন্যায়সঙ্গত ও
সংবিধানকে অত্যাচারের বিরুদ্ধে সুরক্ষা কবচ হিসেবে দাঁড় করাতে হবে। আজকের প্রেক্ষাপটে, আমাদের সংবিধানকে পুনর্বিবেচনা করা প্রয়োজন। এই সংবিধান যাতে কোনোভাবেই অত্যাচারের সুযোগ না দেয় তা আমাদের নিশ্চিত করতে হবে।
গতকাল সোমবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে ৪ নভেম্বর ১৯৭২ সংবিধান দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতি এ আলোচনা সভার আয়োজন করে। সমিতির সভাপতি সিনিয়র আইনজীবী সুব্রত চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. শাহদীন মালিক প্রমুখ।
ড. কামাল হোসেন বলেন, মানুষের অধিকার রক্ষার কাজ শুরু করেছিলাম। এই দুঃসহ অভিজ্ঞতা আমাদের সামনে স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, বাংলাদেশের মানুষের সংবিধানিক অধিকার রক্ষার কাজ এখনো শেষ হয়নি। তিনি বলেন, ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর স্বাধীন বাংলাদেশের ভিত্তি হিসেবে এই সংবিধান গৃহীত হয়েছিল। এই সংবিধানের ভিত্তি ছিল- আমাদের ত্যাগ এবং সম্মিলিত আকাক্সক্ষা। এই সংবিধানের আদর্শগত ভিত্তি ছিল- জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা।