বিস্ফোরক আইনের মামলা পরিচালনায় ২০ জনকে প্রসিকিউটর নিয়োগ
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:১৯
২০০৯ সালে তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলসের (বিডিআর) সদর দফতর পিলখানায় হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিস্ফোরক আইনের মামলা পরিচালনার জন্য ২০ জন স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) নিয়োগ দিয়েছে সরকার।
গত রোববার আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সলিসিটর বিভাগ নিয়োগের এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।
নিয়োগপ্রাপ্তরা হলেন- ঢাকা আইনজীবী সমিতির বিএনপিপন্থী প্যানেলের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট মো: বোরহান উদ্দিন, ফরহাদ নিয়ন, জাকির হোসেন ভূঁইয়া, মোসাম্মৎ রোভানা নাসরিন শেফালী, মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন, মো: মহিউদ্দিন চৌধুরী, মো: শফিউল বশর সজল, গোলাম মোক্তাদির উজ্জ্বল, হান্নান ভূঁইয়া, মো: আবদুল লতিফ, মো: মেহেদী হাসান জুয়েল, মো: হেলাল উদ্দিন, গাজী মাশকুরুল আলম সৌরভ, মো: জিল্লুর রহমান, মাহফুজার রহমান ইলিয়াস, মো: মিজানুর রহমান চৌধুরী, মো: মেহেবুব হোসেন, মো: মিজানুর রহমান শিহাব, মো: খুরশিদ আলম ও আজগর হোছাইন।
তাদের মধ্যে বোরহান উদ্দিন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এবং পরের দুইজন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও অন্যরা সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল পদমর্যাদার।
নিয়োগাদেশে বলা হয়, লালবাগ (ডিএমপি) থানার মামলা নং-৬৫, তারিখ ২৮-০২-২০০৯ থেকে উদ্ধৃত বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) বিস্ফোরক দ্রব্য মামলা পরিচালনা করার জন্য ২০ জন আইনজীবীকে পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত তাদের নামের পাশে উল্লেখ করা পদে (বর্ণিত পদমর্যাদা, প্রাপ্য রিটেইনার ফি ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাসহ) নিয়োগ করা হলো।
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি দুই দিনে তৎকালীন বিডিআর সদর দফতর পিলখানায় বিদ্রোহের নামে হত্যা করা হয় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে। এ ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় বিচারিক আদালতের কার্যক্রম শেষে ২০১৭ সালে হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী ১৩৯ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ১৮৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হয় ২২৮ জনের। এ ছাড়া খালাস দেয়া হয় ২৮৩ জনকে। পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হয় ২০২০ সালে। বর্তমানে মামলাটি আপিল বিভাগে শুনানির জন্য রয়েছে। অপর দিকে বিস্ফোরক আইনের মামলাটি বর্তমানে সাক্ষ্যগ্রহণের পর্যায়ে রয়েছে।