জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার আপিল শুনানির উদ্যোগ
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ০৪ নভেম্বর ২০২৪, ০২:০১
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার আপিল শুনানির জন্য পেপারবুক প্রস্তুত করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। গতকাল রোববার বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চে সাত বছরের সাজার বিরুদ্ধে আপিল শুনানির জন্য পেপারবুক নিজ খরচে তৈরির অনুমতি চেয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আবেদন মঞ্জুর করে এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। সাথে ছিলেন আইনজীবী আমিনুল ইসলাম, জাকির হোসেন ভূইয়া, মো: মাকসুদ উল্লাহ প্রমুখ।
এ বিষয়ে ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, আমরা এই মামলার আপিল শুনানির উদ্যোগ হিসেবে আদালতে গিয়েছি। এ জন্য আমরা কোর্টের অনুমতি নিয়ে নিজেরা পেপারবুক তৈরি (আপিলকারীর খরচে) করে আপিল শুনানি করতে পারি, সে আবেদন করেছিলাম। সে আবেদন আদালত মঞ্জুর করেছেন। পেপারবুক প্রস্তুত করার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি সব দলের আহ্বানে সাড়া দিয়ে দণ্ড মওকুফ করেছেন। আমরা এটা গ্রহণ করেছি। তবে বেগম খালেদা জিয়া আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উনার বিরুদ্ধে যে সাজাটা দেয়া হয়েছে। তার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি উনি আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে করবেন। যে কারণে আপিল শুনানির জন্য পেপারবুক প্রস্তুত করার জন্য আমরা অনুমতি নিয়েছি। পেপারবুক তৈরি হলে আবার আমরা আদালতে যাব। শুনানির জন্য একটি তারিখ চাইব। আশা করছি, আমরা যত দ্রুত শুনানি করতে পারি।
আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেন, এই মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসনের দণ্ড মওকুফ করা হয়েছে। তারপরও আপিল শুনানি কেন? আমরা বলেছি, তিনি (খালেদা জিয়া) আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। রাষ্ট্রপতি দণ্ড মওকুফ করেছেন। তবে এটা আইনগতভাবে মোকাবিলা করতে তিনি আইনজীবীদের নির্দেশ দিয়েছেন। সুতরাং তাড়াতাড়ি পেপারবুক তৈরি করে আপিল শুনানির জন্য আদালতের কাছে নিয়ে আসব।
২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রশাসনিক ভবনের সাত নম্বর কক্ষে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫’র বিচারক মো: আখতারুজ্জামান (বর্তমানে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি) জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। একই সাথে তাকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়। একই সাজা হয়েছে মামলার অপর তিন আসামিরও।
দণ্ডপ্রাপ্ত অপর তিন আসামি হলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার তৎকালীন রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মরহুম সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান। সে সময় হারিছ চৌধুরী পলাতক হন। বাকি আসামিরা হাইকোর্টে আপিল করেন।
২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা করা হয়। ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে মামলাটি করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।