ববি শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় সড়ক অবরোধ ক্ষতিপূরণ দাবি
- ববি প্রতিনিধি
- ০১ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:২৫
বাসচাপায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাইশা ফৌজিয়া মিমের মৃত্যুর ঘটনায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও নিহতের পরিবারকে তিন কোটি টাকা ক্ষতিপূরণসহ নানা দাবি জানিয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে ঢাকা-পটুয়াখালী মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তারা রাস্তা অবরোধ করে রেখেছিলেন।
এ দিকে দুপুর সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনের মহাসড়কে মিমের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় নিহত ছাত্রীর বাবা-মামাসহ পরিবারের লোকজন অংশগ্রহণ করেন। মিমের বাড়ি নেত্রকোনায়, তার বাবার নাম মোহাম্মদ আলী। তিনি বড় হয়েছেন ঢাকায় মায়ের সাথে মামাদের তত্ত্বাবধানে। মিমের বাবা সবার কাছে তার সন্তানের রূহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং এই হত্যার বিচার দাবি করেন। জানা গেছে, ঢাকায় পারিবারিকভাবে মামাদের তত্ত্বাবধানে লাশ কবর দেয়া হবে। মিম মা-বাবার একমাত্র সন্তান।
এরপর বেলা দেড়টার দিকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ভিসির সাথে কথা বলেন। এ সময় তারা ববির সামনের মহাসড়কে ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ, রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশ, নিহত মিমের পরিবারকে তিন কোটি টাকা ক্ষতিপূরণসহ বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন।
গত বুধবার রাত ৯টার দিকে মিম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভোলা রোডসংলগ্ন মহাসড়ক পার হওয়ার সময় নারায়ণগঞ্জ ট্রাভেলস নামে একটি বাসের চাপায় ঘটনাস্থলে মারা যান। ঘটনার পরপরই বাসটি পুড়িয়ে দেয় শিক্ষার্থীরা। পরে রাত ২টা পর্যন্ত মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন তারা। তখন চালক-হেলপারকে গ্রেফতারে প্রশাসনকে আলটিমেটাম দিয়ে মহাসড়ক ছেড়েছিলেন শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে ভূমিকা সরকার নামে আন্দোলনরত এক শিক্ষার্থী বলেন, নিহত মিম ববির পরিসংখ্যান বিভাগের ১২তম ব্যাচের দ্বিতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী। রাস্তা পার হওয়ার সময় মিমকে চাপা দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সবাইকে দ্রুত গ্রেফতার করতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রাহাত হোসেন ফয়সাল বলেন, সব দাবি আমরা অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করব। ক্ষতিপূরণের বিষয়টি নিয়ে আমরা বাস মালিক ও সংশ্লিষ্ট সবার সাথে কথা বলব।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার মো: শওকত আলী বলেন, আমরা তোমাদের সব দাবি শুনেছি। আমরা ইতোমধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছি। সড়কে স্পিডব্রেকার বসানোর কাজ চলছে। ট্রাফিক পুলিশ থাকবে। ফুটপাথের যে দাবি করেছ, তা একটু দীর্ঘ প্রক্রিয়া কিন্তু আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।
এ সময় ভিসি অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিন বলেন, আমরা ইতোমধ্যে বিআরটিএর সাথে কথা বলেছি। বাস মালিকপক্ষ পাঁচ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেবে। আমরা সংশ্লিষ্ট সবার সাথে কথা বলছি। যতদ্রুত সম্ভব আমরা ওই বাস চালককে গ্রেফতারের জন্য কথা বলেছি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা