২৭ অক্টোবর ২০২৪, ১১ কার্তিক ১৪৩১, ২৩ রবিউস সানি ১৪৪৬
`
চট্টগ্রাম পিবিআইর তথ্য

আনোয়ারায় নিয়ে মদ খাইয়ে স্ত্রীকে হত্যা করেন আরাফাত

-

বন্ধুদের সাথে বেড়ানোর কথা বলে স্ত্রী আমেনা বেগমকে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার গহিন পাহাড়ে নিয়ে যান প্রবাসী স্বামী ইয়াছিন আরাফাত। এরপর তিন বন্ধু মিলে সেখানে বসে প্রথমে মদ পান করেন তারপর খান ইয়াবা। সাথে স্ত্রীকেও খাওয়ান। মাদকের নেশায় আমেনা বেগম যখন টালমাটাল সে সুযোগে স্ত্রীর পেটে ছুরি চালিয়ে হত্যা করেন তিনি। মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর স্ত্রীর শরীর থেকে প্রথমে বোরকা তারপর সালোয়ার-কামিজ খুলে নেন আরাফাত। এরপর লাশ অর্ধনগ্ন করে ফেলে দেন খালে।
আনোয়ারা উপজেলার গহিন পাহাড় থেকে অজ্ঞাত নারীর লাশ উদ্ধারের পর ছায়া তদন্ত করতে গিয়ে লোমহর্ষক এই হত্যার ক্লু খুঁজে পায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। চট্টগ্রাম ও খাগড়াছড়ি এবং বাঘাইছড়ির বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত দুইজনকে গ্রেফতার করেন তারা। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- চট্টগ্রাম নগরীর ডবলমুরিং হাজীপাড়া এলাকার মোহাম্মদ সোলতান আহমেদের ছেলে জাহেদ নাবেদ (৩০) প্রকাশ নাহিদ ও রাঙ্গামাটি জেলা পুলিশের কনস্টেবল ইরফান হোসেন (৩২)।
গতকাল শনিবার চট্টগ্রাম নগরীর পাহাড়তলীর পিবিআই চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পিবিআই চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার শেখ জয়নুল।
ইয়াছিন আরাফাত এবং আমেনা বেগম আগে একাধিক বিয়ে করেছেন জানিয়ে শেখ জয়নুল বলেন, দেশে ফিরে গোপনে অন্য নারীকে বিয়ে করেন ইয়াছিন আরাফাত। নতুন করে বিয়ে করা নিয়ে তাদের মধ্যে পারিবারিক দ্বন্দ্ব শুরু হয়। সে দ্বন্দ্বের কারণে আমেনা বেগমকে হত্যার পরিকল্পনা করেন তিনি। তিনি আরো বলেন, ঠাণ্ডামাথায় স্ত্রীকে খুন করে হত্যাকাণ্ডের মূল আসামি ইয়াছিন আরাফাত গত ৩ অক্টোবর আবারো দুবাই চলে যান।
পিবিআই চট্টগ্রাম জেলার সহকারী পুলিশ সুপার আবু জাফর মোহাম্মদ ওমর ফারুক বলেন, মো: জাহেদ প্রকাশ নাহিদ ও ইরফান হোসেন এবং ইয়াছিন আরাফাত তিনজন পরস্পর বন্ধু। নেশা করতে এসে এই ঘটনার সাথে জড়িয়ে পড়েন মো: জাহেদ প্রকাশ নাহিদ ও পুলিশ কনস্টেবল ইরফান হোসেন।


আরো সংবাদ



premium cement