প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ ও প্রতিবেদকের বক্তব্য
- ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ০১:২২
গত ২১ অক্টোবর ‘সরকারকে ব্যর্থ করতে নানামুখী ষড়যন্ত্র আওয়ামী সাজানো প্রশাসনেই চলছে কৃষি মন্ত্রণালয়’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। এতে বলা হয়, সাবেক কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক একটি মামলায় গ্রেফতার হলেও তার সাজানো প্রশাসনেই চলছে কৃষি মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো। এসব কর্মকর্তা দফতরে বসে বর্তমান সরকারকে ব্যর্থ করার জন্য নানামুখী ষড়যন্ত্র করছে বলেও অভিযোগ উঠছে।’ যা সম্পূর্ণ অসত্য।
সংবাদটিতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান আওয়ামীপন্থী কর্মকর্তাদের আগলে রেখেছেন বলে যে তথ্য দেয়া হয়েছে তা অসত্য ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। ওএসডি হিসেবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বদলির আদেশাধীন অতিরিক্ত সচিব ড. মলয় চৌধুরীকে ইতোমধ্যে অবমুক্ত করা হয়েছে। বদলির আদেশাধীন অতিরিক্ত সচিব ড. নুরুন্নাহার চৌধুরীর অবমুক্তির বিষয়টির প্রশাসনিক প্রক্রিয়া চলমান। এ বিষয়ে সচিব তার ক্ষমতার অপব্যবহার করে তাদের অফিস করাচ্ছেন বলে যে ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে তা অসমীচীন।
মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দফতর/সংস্থার মহাপরিচালক/পরিচালকরা সচিবের ছত্রছায়ায় থেকে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছেন এ তথ্যটি বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। সরকারি বিধিবিধান ও নিয়ম মাফিক দফতর/সংস্থার কর্মকর্তাদের পদায়ন ও দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। সংবাদটির শেষে কৃষি সচিবের সাথে প্রতিবেদক যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছেন কিন্তু সাক্ষাৎ পাননি এ তথ্যটিও সঠিক নয়।
প্রতিবেদকের বক্তব্য : প্রকাশিত প্রতিবেদনে সাবেক কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাকের সাজানো প্রশাসনেই কৃষি মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো চলছে উল্লেখ করা হয়েছে তা সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতেই করা হয়েছে। সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান নিজে আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী। ছিলেন শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির সমন্বয়ক। আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতায় আসার পর স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, স্থানীয় সরকার বিভাগ, আইএমইডির মতো গুরুত্বপূর্ণ দফতরে কাজ করেছেন। তার আস্থাভাজন ও আওয়ামী সুবিধাভোগী কর্মকর্তারা নিজ দফতরে বসে অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা ও সরকারকে ব্যর্থ করার ষড়যন্ত্রের বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা প্রতিবেদককে জানিয়েছেন। দুইজন অতিরিক্ত সচিবকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বদলি করলেও সচিব তাদের অবমুক্ত না করে আগলে রাখার বিষয়টি প্রতিবাদ লিপিতেই প্রমাণ করেছেন। পত্রিকায় এই সংবাদ প্রকাশিত হলে তড়িঘড়ি করে অতিরিক্ত সচিব ড. মলয় চৌধুরীকে ওই দিনই অবমুক্ত করেছেন। প্রতিবেদন তৈরির আগে সচিবের সাথে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি মিটিংয়ে আছেন বলে মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা