বন্দরে ১ নম্বর দূরবর্তী সঙ্কেত
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ০১:১৪
বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি ইতোমধ্যে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে গেছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরের দিকে এটি নিম্নচাপে পরিণত হয়। পরে সন্ধ্যা ৬টার দিকে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে গেছে, যা ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির কাছাকাছি পর্যায়। হয়তো দেখা যাবে কয়েক ঘণ্টা পর অথবা আজ বুধবার সকালের দিকে ঘূর্ণিঝড় হয়ে গেছে। তবে ঘূর্ণিঝড় হলে এটি বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানার আশঙ্কা নেই। এটা ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও উড়িষ্যার মাঝ বরাবর উপকূলে উঠে যেতে পারে। এ সময় বাংলাদেশেও এর কিছু প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা আছে। কিছুটা ঝড়ো হাওয়া এবং বৃষ্টি হতে পারে দেশের বিভিন্ন স্থানে।
গতকাল সন্ধ্যা ৬টায় গভীর নিম্নচাপটি চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ৭৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। আর কক্সবাজার থেকে ৬৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। মংলা থেকে ৭৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্বে এবং পায়রা থেকে ৭০০ দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্বে অবস্থান করছিল।
গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার যা দমকা ও ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী সাগর বেশ উত্তাল রয়েছে।
আবহাওয়া অফিস বাংলাদেশের ৪ সমুদ্র বন্দরের জন্য ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সঙ্কেত দেখিয়ে যেতে বলেছে। এ সঙ্কেতটির অর্থ হলো- জাহাজ বন্দর থেকে ছেড়ে যাওয়ার পর দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার সম্মুখীন হতে পারে এবং দূরবর্তী এলাকায় একটি ঝড়ো হাওয়ার অঞ্চল রয়েছে। সেখানে সর্বোচ্চ ৬১ কিলোমিটার বেগে ঝড় হতে পারে। ১ নম্বর দূরবর্তী সঙ্কেতই আবহাওয়ার অধিদফতরের ঝড়ের আগে জারি করা প্রথম সঙ্কেত।
গভীর নিম্নচাপের কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে চলাচল করতে বলা হয়েছে যাতে স্বল্প সময়ের নোটিশে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে পারে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা