গুলিবিদ্ধ পটিয়ার রিয়াদ চিকিৎসার অভাবে কাতরাচ্ছেন
- পটিয়া-চন্দনাইশ (চট্টগ্রাম)
- ২০ অক্টোবর ২০২৪, ০১:৩৬
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ পটিয়ার মেধাবী ছাত্র ইমরানুল হক চিকিৎসার অভাবে গত আড়াই মাস যাবৎ কাতরাচ্ছেন।
গত ৫ আগস্ট নগরীর বহদ্দারহাটে ছাত্র-জনতার মিছিলে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন ইমরানুল হক রিয়াদ।
অর্থাভাবে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে দেশের বাইরেও নিয়ে যেতে পারছে না পরিবারের সদস্যরা। ৫ আগস্ট আন্দোলন চলাকালে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ৩৯টি গুলিবিদ্ধ হয় রিয়াদের। এর মধ্যে ৩৩টি গুলি বিভিন্নভাবে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বের করতে পারলেও। টাকার অভাবে উন্নত চিকিৎসার মাধ্যমে তার মাথায়, চোখ, নাক ও মুখে ছয়টি ছররা গুলি নিয়ে দীর্ঘ আড়াই মাস ধরে মারাত্মক শারীরিক যন্ত্রণা নিয়ে ঘরেই কাতরাতে হচ্ছে মেধাবী ছাত্র রিয়াদকে।
ইমরানুল হক রিয়াদ চট্টগ্রামের পটিয়ার কুসুমপুরা ইউনিয়নের পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর হরিণ খাইন গ্রামের স্বল্প বেতনের চাকরিজীবী আহমদ নবীর দুই ছেলের মধ্যে বড়। রিয়াদ নগরীর নোমান কলেজের অনার্স চতুর্থ বর্ষের মেধাবী ছাত্র। মেধাবী ছাত্র রিয়াদের জীবনটা এখন অনেকটাই বিষাদে ছেয়ে রয়েছে। অনিশ্চয়তায় পরিবারের সদস্যরা এখন দিনাতিপাত করছেন।
পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, চিকিৎসকরা বলেছেন রিয়াদের স্পর্শকাতর জায়গায় গুলি থেকে যাওয়ায় তার উন্নত চিকিৎসা জরুরি ভাবে করা প্রয়োজন। দেশে না পারল বিদেশে গিয়ে তাকে উন্নত চিকিৎসা করা দরকার। বিদেশে নিয়ে তাকে উন্নত চিকিৎসা করাতে হলে কমপক্ষে আট থেকে ১০ লাখ টাকার প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। ইমরানুল হক রিয়াদের চাচা রবিউল আলম বাদশা গত রাতে নয়া দিগন্তকে জানান, রিয়াদের বাবার একার পক্ষে বিপুল পরিমাণ টাকা ব্যয় করে ছেলে রিয়াদের উন্নত চিকিৎসা করা একেবারেই অসম্ভব। তিনি জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়কারী সারজিস আলমের মাধ্যমে তার চিকিৎসা জন্য ৩০ হাজার টাকা পেয়েছেন। রবিউল আলম বাদশা আরো বলেন, তার উন্নত চিকিৎসার জন্য বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও প্রশাসনসহ সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে এগিয়ে আসা দরকার।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা