আদালতে সেবায়েত রেখার স্বীকারোক্তি জবানবন্দী

সাতক্ষীরার শ্যামনগরে যশোরেশ্বরী কালীমন্দিরের মূর্তির স্বর্ণের মুকুট চুরির ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া মন্দিরের সেবায়েত রেখা সরকার ওই ঘটনায় তার সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন। গত রোববার বিকেল সাড়ে ৬টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত আদালতের বিচারিক হাকিম সুজাতা আমিন তার জবানবন্দী গ্রহণ করেন। জবানবন্দী শেষে রাতেই আটক চার আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চার আসামিকে একদনের রিমান্ডে নেয়া হয়।
রিমান্ড ফেরত চার আসামি হলেন শ্যামনগর উপজেলার ঈশ্বরীপুর গ্রামের মৃত ছিদাম সরকারের স্ত্রী ও মন্দিরের সেবায়েত রেখা সরকার (৪৫), একই গ্রামের অখিল চন্দ্র সাহার ছেলে অপূর্ব কুমার সাহা (৪৬), মৃত গোকুল চন্দ্র সাহার ছেলে সঞ্জয় বিশ্বাস (৩৭) ও একই উপজেলার শ্রীফলকাটি এলাকার হরেণ বিশ্বাসের স্ত্রী পারুল বিশ্বাস (৪৪)।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই আহমেদ কবির জানান, শ্যামনগরের ঈশ্বরীপুরের যশোরেশ্বরী কালীমন্দিরের কালীমূর্তির মাথার সোনার মুকুট চুরির ঘটনায় সেবায়েত জ্যোতিপ্রকাশ চট্টোপাধ্যায়ের করা মামলায় চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শনিবার আদালতে প্রত্যেককে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন জানানো হয়। বিচারক সুজাতা আমিন শুনানি শেষে একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তাদেরকে আদালত থেকে গোয়েন্দা পুলিশ হেফাজতে নিয়ে আসা হয়। পরে সেবায়েত রেখা সরকার বিচারিক হাকিম সুজাতা আমিনের কাছে চুরির সাথে নিজের সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দেন। তিনি আরো বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে আসামিদের কাছ থেকে আরো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। তাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করা হচ্ছে।
২০২১ সালের ২৭ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যশোরেশ্বরী কালীমন্দির পরিদর্শনে এসে নিজের হাতে কালিমূর্তির মাথায় সোনার মুকুট পরিয়ে দিয়েছিলেন।