১৪ অক্টোবর ২০২৪, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১, ১০ রবিউস সানি ১৪৪৬
`
বৈষম্যবিরোধী-বীরত্বগাথা

শহীদ সায়মনের স্ত্রী শামিমার সুখ নিমিষেই ছেয়ে গেল বিষাদে

-

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পরিচয়, পরে সম্পর্ক প্রায় তিন বছর। প্রায় পাঁচ মাস আগে বিয়ে করেন সাইমন ইসলাম আল-আমিন (২৩)। নববধূ থাকতেন বাবার বাড়িতে। এরই মধ্যে নতুন চাকরি পেয়েছেন সাইমন। এবার নতুন বউ ঘরে তোলার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। মৃত্যুর আগে বউকে ফোন করে নতুন বাসা ভাড়া নিয়েছেন বলে খবরও দিয়েছিলেন। সুখের সংসার সাজাবেন নিজের মতো করে-এমন সুন্দর স্বপ্ন ও সুখের খবর দেয়ার কিছুক্ষণ পরেই এলো বিষাদের খবর।
এ খবর বাস্তব নাকি দুঃস্বপ্ন বিশ্বাস করতে পারছিলেন না স্ত্রী শামীমা আক্তার (১৯)। মাত্র একটি গুলিতেই সব স্বপ্ন চুরমার হয়ে গেছে তার।
গত ১৯ জুলাই দুপুরে সাভার রেডিও কলোনি এলাকায় কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতা ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষে শহীদ হন সাইমন ইসলাম আল-আমিন। কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের দৌলতপুর মধ্যপাড়ার মো: বাবুল ও মনোয়ারা বেগম দম্পতির মেজো ছেলে সাইমন ইসলাম আল-আমিন (২৩)।
তিনি সাভারের রেডিও কলোনির নয়াবাড়ি এলাকায় ভাড়া বাসায় পরিবারের সাথে থাকতেন। বাবা কাজ করেন গাজীপুরের এক কোম্পানিতে।

শহীদ সাইমনের লাশ ২০ জুলাই গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের দৌলতপুর দক্ষিণপাড়ায় দাফন করা হয় ।
নিহতের স্ত্রী শামীম আক্তার বলেন, আমি আমার পরিবারের সাথে ঢাকার সবুজবাগ এলাকায় থাকতাম। আর সায়মন থাকতো রেডিও কলোনিতে। আমাদের বিয়ে হওয়ার পর তাদের বাড়িতে থাকার ব্যবস্থা না থাকায় আমি বাড়িতে থাকতাম। পরে নতুন বাসা নিয়ে আমাকে নিয়ে যাবে এমন কথা হয়েছে দু’পরিবারের মধ্যে। সায়মন মারা যাওয়ার কিছুক্ষণ আগে আমাকে ফোন করে নতুন বাসা নেয়ার কথা জানায়। পরে আমিও তার সাথে গিয়ে ওই বাসা দেখে আসব বলেছিলোম। এর কিছুক্ষণ পর খবর পেলাম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে তার গুলি লেগেছে। পরে তো হাসপাতালে মারা যায়। মাত্র ঘণ্টা খানেকের মধ্যে এমন দু’টি খবর আমার মোবাইলফোনে আসবে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না।

 


আরো সংবাদ



premium cement