০৭ অক্টোবর ২০২৪, ২২ আশ্বিন ১৪৩১, ৩ রবিউস সানি ১৪৪৬
`

সীতাকুণ্ড ও খুলনায় সাবেক এমপিসহ ১১৫ জনের নামে মামলা

-

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে আওয়ামী লীগের সাবেক দুই এমপিসহ ১১৩ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। খুলনায় সিটি করপোরেশন মেয়র ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যানের নামে চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা হয়েছে।
সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা জানান, সীতাকুণ্ডে বাড়িঘরে হামলা, লুটপাট ও ভাঙচুরের অভিযোগে আওয়ামী লীগের সাবেক দুই এমপি দিদারুল আলম ও এসএম মামুনসহ ৫৩ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে সীতাকুণ্ড মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় ২নং বারৈয়াঢালা ইউপি চেয়ারম্যান রায়হান উদ্দিন ও ইসলাম বাহিনীর প্রধান সাইদুল ইসলাম ছাড়াও আরো ৬০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। ২০১৩, ২০১৬, ২০১৮ ও ২০২২ সালে নিজ বাড়িতে দফায় দফায় হামলা, লুটপাট ও ভাঙচুরের অভিযোগ আনা হয়। বারৈয়াঢালা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ও চেয়ারম্যান প্রার্থী মো: অহিদুল ইসলাম চৌধুরী শরিফ বাদি হয়ে শনিবার রাতে সীতাকুণ্ড মডেল থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন।

খুলনা ব্যুরো জানায়, খুলনা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি তালুকদার আবদুল খালেক, খুলনা জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হারুনুর রশিদ এবং জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে ৩০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে মামলা হয়েছে। গতকাল নগরীর ডাকবাংলো মোড়ের ব্যবসায়ী শেখ মো: মেরাজ হোসেন অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। আদালত মামলা তদন্ত করতে সিআইডির উপকমিশনারকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার আর্জিতে বলা হয়েছে, মেরাজ হোসেনের পিতা ২৮ বছর ধরে ডাকবাংলো মোড়ের হুগলি বেকারির পেছনে জমি ইজারা নিয়ে দোকান চালাচ্ছেন। এ হোসেন এন্টারপ্রাইজ নামে তাদের দোকানে প্রায় এক কোটি টাকার বিনিয়োগ রয়েছে। ২০২৩ সালের ২০ জুন বিকেল ৩টায় জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তার পিতাকে জমির মূল কাগজপত্র নিয়ে তার সাথে দেখা করতে বলেন। তার কাছে গেলে যাচাইয়ের কথা বলে মূল কাগজ রেখে দিয়ে দিনের পর দিন ঘোরাতে থাকেন। একপর্যায়ে তিনি চেয়ারম্যানের সাথে দেখা করতে বলেন এবং ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে বলেন, টাকা না দিলে মূল কাগজ ফেরত দেয়া হবে না এবং দোকানের বরাদ্দ বাতিল করা হবে। মাহবুব আরো বলেন, ওই জমি কেসিসির অধীনে হস্তান্তরিত হওয়ায় মেয়রকেও ১০ লাখ টাকা ঘুষ দিতে হবে। তিনি ৩০ লাখ টাকা ঘুষ না দেয়ায় এ বছরের ২১ জুন রাত ১০টায় মেরাজ হোসেনের দোকানটি তারা ভেঙে ফেলে।

 

 


আরো সংবাদ



premium cement