০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১, ২ রবিউস সানি ১৪৪৬
`

অতীত ভুলে যান, আমাদের ওপর আস্থা রাখুন

সংবাদ সম্মেলনে ডিবি প্রধান
-

অপরাধীদের জন্য আতঙ্কের হলেও সাধারণ মানুষের বন্ধু হবে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ডিবি অফিসে থাকবে না কোনো আয়নাঘর আর ভাতের হোটেল। সময় কাটানোর জায়গা হবে না কোনো নায়ক-নায়িকা বা সেলিব্রেটিদের। ডিবির কলঙ্কিত অধ্যায় শেষ করে পবিত্র করা হবে, যেখানে মানুষ পাবে ন্যায়বিচার। নতুন বাংলাদেশে ডিবি অফিস হবে ভুক্তভোগীদের ভরসাস্থল।
গতকাল শনিবার রাজধানীর মিন্টু রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এভাবেই কথা বলছিলেন নতুন গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার রেজাউল করিম মল্লিক। দায়িত্ব নেয়ার পর এবারই প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে সাংবাদিকদের সামনে বক্তব্য রাখেন তিনি।
রেজাউল করিম বলেন, বিগত সময়ে উচ্চাভিলাষী কিছু কর্মকর্তা সমগ্র পুলিশ বাহিনীকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেয়। এর ফলে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান ও বিগত সরকারের পতনকে ঘিরে সংঘর্ষ-সহিংসতায় পুলিশের মনোবল ভেঙে পড়ে। এ ধরনের ভয়াবহ বিপর্যয়ের সম্মুখে পুলিশ বাহিনী কখনো দাঁড়ায়নি। এমন পরিস্থিতিতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নেতৃত্বে আইজিপি ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কর্মতৎপরতায় ডিএমপির সব থানা ও ডিবির কার্যক্রম পুরোদমে সচল হয়েছে। তিনি বলেন, আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা অফিসে আর কোনো আয়নাঘর থাকবে না। ডিবির কলঙ্কিত অধ্যায় শেষ করে সেটিকে পবিত্র করা হবে, যেখানে মানুষ ন্যায়বিচার পাবে। থাকবে না কোনো ভাতের হোটেল। ডিবি অফিসের নাম শুনে আর যেন কেউ আতঙ্কিত না হয়, শুধু আসামিরাই যেন ভয় পায়। আমি আপনাদের নিশ্চয়তা দিচ্ছি, ডিবির কোনো সদস্য যদি কোনো ধরনের অনৈতিক ও অপেশাদার কর্মকাণ্ডের সাথে যুক্ত হয় তাদেরও বিন্দুমাত্র ছাড় দেয়া হবে না। এমনকি আমি নিজেও আইনের ঊর্র্ধ্বে নই।
সাবেক ডিবি প্রধান হরুন রশীদ ও বিপ্লব সরকারের অবস্থান জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের কাছে এখনো তাদের সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে তাদের সন্ধানে কাজ চলছে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে রেজাউল মল্লিক বলেন, বিগত দিনে ডিবিতে যা হয়েছে তা ভুলে যান। সামনের দিনে সবাইকে সাথে নিয়ে ন্যায়ের পথে চলব।

 


আরো সংবাদ



premium cement