০১ অক্টোবর ২০২৪, ১৬ আশ্বিন ১৪৩১, ২৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`
প্রতিকার চেয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের সংবাদ সম্মেলন

কাওরানবাজারে মাছের আড়ত দখল

-

রাজধানীর কাওরানবাজারের জনতা মৎস্য আড়ত দুর্বৃত্তরা দখল করেছে বলে অভিযোগ করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা। তাদের অভিযোগ- স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের দুর্নীতিবাজ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সহযোগী মোশারফ হোসেন সরদার এই জনতা মৎস্য আড়তটি দখল করে দীর্ঘ ১৬ বছর ভোগ করে; কিন্তু সরকার পরিবর্তন হলেও দখলমুক্ত হয়নি এই মাছের আড়ত।
গতকাল সোমবার কাওরানবাজারে একটি রেস্টুরেন্টে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন জনতা মৎস্য মার্কেটের মালিক হেলাল উদ্দিন গাজী। এ ঘটনায় তেজগাঁও থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর একদল দুর্বৃত্ত ৬ আগস্ট কাওরানবাজারের জনতা মৎস্য আড়ত আবার দখলে নেয়। এর আগে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের দুর্নীতিবাজ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সহযোগী মোশারফ হোসেন সরদার এই আড়তটি দখল করে দীর্ঘ ১৬ বছর ভোগ করে। তখন আড়তের মূল মালিক আতাউর রহমান, মোজাম্মেল হোসেন ও হেলাল উদ্দিন গাজীকে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সহযোগী মোশারফ হোসেন সরদার মিথ্যা মামলা ও পুলিশের ভয় দেখিয়ে তাড়িয়ে দেয়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০১২ সালের ১৫ নভেম্বর কাওরানবাজারের ওই জায়গাটি (তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল ঢাকা-এর সিএস খতিয়ান ২১, এসএ খতিয়ান ২০, আরএস ১৫৪-এর খতিয়ানভুক্ত) ঈমাম হোসেনের ওয়ারিশদের কাছ থেকে আতাউর রহমান, মোজাম্মেল হোসেন ও হেলাল উদ্দিন গাজী কিনে নেন। এর পর থেকেই ওই জমির ওপর সেমিপাকা ঘর করে মৎস্য আড়ত গড়ে তোলেন। ৪০টি ঘর করে সেখান বিভিন্ন ব্যবসায়ীকে ভাড়া দিয়ে নিজেরাও ব্যবসা শুরু করেন।

কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ছত্রছায়ায় কাওরানবাজারের ত্রাস মোশারফ হোসেন সরদার তার সহযোগীদের নিয়ে জনতা মৎস্য আড়তটি দখল করে এবং সেখানকার ৪০টি দোকান বরাদ্দ দিয়ে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। এ ছাড়াও প্রতিদিন দোকানপ্রতি ৪০০ টাকা ভাড়া নেয়। মৎস্য মার্কেট দখলে নেয়ার পর জমির মূল মালিকরা আদালতে মামলা করেন। আদালত থেকে একাধিকবার মূল মালিকদের পক্ষে রায় পাওয়া সত্ত্বেও দখলে যেতে পারেনিন তারা।
কাওরানবাজার জনতা মৎস্য আড়তের ব্যবসায়ী আব্দুর রশিদ জানান, গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার পতনের আগ পর্যন্ত জনতা মৎস্য আড়তের ৪০টি দোকান থেকে প্রতি দিন ৪০০ টাকা আদায় করতেন মোশারক হোসেন সরদার। শুধু তাই নয় তিনি মূল মালিকের কাছ থেকে জোর করে আড়তটি দখল করে প্রতিটি দোকান থেকে অগ্রিম তিন থেকে চার লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এর একটি বড় অংশ চলে যেত সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায়। কাওরানবাজার থেকে প্রতিদিন প্রায় এক কোটি টাকা কামালের বাসায় পৌঁছে দিত মোশারফ। তার ভয়ে কাওরানবাজারে কেউ কথা বলতে পারত না। কিন্তু গত ৫ আগস্ট ওই সিন্ডিকেটের পতনের পর জনতা মৎস্য আড়তসহ ফুটপাথের অর্ধশত দোকান আবারো দখল করে দুর্বৃত্তরা।

 


আরো সংবাদ



premium cement
খেলাপি ঋণে আর ছাড় নয় রাষ্ট্র সংস্কারের আগে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে বসবে সরকার স্থল হামলা মোকাবেলায় প্রস্তুত হিজবুল্লাহ শফিক রেহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা প্রত্যাহার আশুলিয়ায় শ্রমিক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংঘর্ষ, নিহত ১ অনুপস্থিত থাকায় ইউপি চেয়ারম্যানরা অপসারণ হচ্ছেন সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্তে টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশ সাইবার আইনের মামলা প্রত্যাহার হচ্ছে, মুক্তি পাবেন গ্রেফতারকৃতরা উত্তরবঙ্গে বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াতে সরকারের প্রতি তারেক রহমানের আহ্বান অটোমেটেড ব্যবস্থা অপচয় ও দুর্নীতি কমাচ্ছে : অর্থ উপদেষ্টা ২০ হাজার ভিসা আবেদনকারীর পাসপোর্ট ফেরত দিল ভারতীয় হাইকমিশন

সকল