ফ্যাসিস্টদের দোসররা এখনো প্রশাসনে বহাল : জোনায়েদ সাকি

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। প্রশাসনে এখনো ফ্যাসিস্টদের দোসররা বসে আছে। বিভিন্ন কাঠামোতে বসে তারা খুনিদের আড়াল করার চেষ্টা করছে। খুনিদের বিচার করতেই হবে। এটাই বাংলাদেশের মানুষের আকাক্সক্ষা।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ শহরের মিশনপাড়া এলাকায় হোসিয়ারি সমিতি মিলনায়তনে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহতদের স্মরণ সভায় একথা বলেন তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জীবন, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি ফারহানা মানিক প্রমুখ।

সাকি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি এ সরকার শহীদের তালিকা প্রকাশ করবে। একজন শহীদের নামও যেন বাদ না যায়। এ শহীদেরা শুধু নাম নয়, একেকটি সম্ভাবনাময় জীবন ছিল। কী নিদারুণ যন্ত্রণা ভোগ করছে এ ছেলেরা। অন্তত পাঁচশ যুবক চোখ হারিয়েছে। অনেকে পঙ্গুত্ব বরণ করেছে। তাদের জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে যেন ভাবতে না হয়; সেভাবে সরকারকে ব্যবস্থা নিতে হবে।
তিনি বলেন, কোনো শহীদ পরিবারকে যেন বলতে না হয় আমরা বিচার পেলাম না। এসব হত্যার দোসর ও নির্দেশদাতারা কোথায় গেল? আমরা শুনতে পারছি তারা পালিয়ে গেছে, এখনো পালিয়ে যাচ্ছে। তারা কীভাবে আইনের মুখোমুখি না হয়ে পালিয়ে যাচ্ছে, সরকারকে তার জবাব দিতে হবে।
জোনায়েদ সাকি বলেন, বাংলাদেশ চলবে ১৯৭১ সালের বৈষম্যহীন বাংলাদেশের চেতনায়; ওরা আবার এটা মনে করিয়ে দিয়েছে। এখানে কেউ পাবে, কেউ পাবে না; সেটা আর হবে না। আমাদের নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত লাগবে। সেটার জন্য জনতার সংবিধান লাগবে। তার জন্য আইনের সংস্কার করতে হবে। এর মধ্য দিয়ে রাষ্ট্র গণতান্ত্রিক হবে। এ কাজগুলো অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, আমাদের দেশের সব স্তরের মানুষ যেন মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে।

তাদের দাবি পেশ করতে পারে। এ দেশের মেহনতি মানুষ কী আন্দোলন করতে পেরেছে? প্রেস ক্লাবে অধিকার ভিক্ষার মতো চাইতে হয়েছে। উন্নয়ন মানে শুধু বড় বড় স্থাপনা নয়; মানুষের জীবন মান তাদের বাচ্চাদের শিক্ষা, চিকিৎসা, পারিবারিক ভবিষ্যৎ গড়ে উঠলে সেটাকে উন্নয়ন বলে। আমরা এমন একটি বাংলাদেশ চাই যেখানে মানুষ তার ন্যায্য অধিকার চাইতে পারে।