উচ্চ রক্তচাপরোধে তৃণমূলে ওষুধের প্রাপ্যতা জরুরি
বিশ্বে ১৩০ কোটি মানুষ উচ্চ রক্তচাপে ভুগছে- বিশেষ সংবাদদাতা
- ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:৩০
বিশ্বের ১৩০ কোটি মানুষ উচ্চ রক্তচাপে ভুগছে। বাংলাদেশের জনসংখ্যার একটি বিশাল অংশ নীরব ঘাতক উচ্চ রক্তচাপ জটিলতায় আক্রান্ত। উচ্চ রক্তচাপের প্রকোপ মোকাবেলায় ইতোমধ্যে বিনামূল্যে ওষুধ প্রদানের কাজ শুরু হয়েছে। তবে উচ্চ রক্তচাপজনিত বিভিন্ন অসংক্রামক রোগ ও মৃত্যু কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণে আনতে তৃণমূল পর্যায়ের সকল স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা প্রয়োজন বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। সাংবাদিকরা বলছেন, একইসাথে নিরবচ্ছিন্ন ওষুধ সরবরাহ নিশ্চিত করতে টেকসই অর্থায়ন জরুরি।
রাজধানীর বিএমএ ভবনে ‘উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশের অগ্রগতি এবং করণীয়’ শীর্ষক গতকাল এক সাংবাদিক কর্মশালায় এসব মতামত তুলে ধরা হয়। গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটর (জিএইচএআই) এর সহযোগিতায় প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) এ কর্মশালার আয়োজন করে। কর্মশালায় প্রিন্ট, টেলিভিশন এবং অনলাইন মিডিয়ায় কর্মরত ২৬ সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন। কর্মশালায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জিএইচএআই বাংলাদেশ কান্ট্রি লিড মুহাম্মাদ রূহুল কুদ্দুস, এখন টিভির সিনিয়র নিউজ এডিটর রাশেদা আক্তার শিমুল এবং প্রজ্ঞার নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের। কর্মশালায় বিষয়ভিত্তিক উপস্থাপনা তুলে ধরেন প্রজ্ঞার পরিচালক মো: শাহেদুল আলম এবং কোঅর্ডিনেটর সাদিয়া গালিবা প্রভা।
কর্মশালায় জানানো হয়, বাংলাদেশে প্রতি চারজন প্রাপ্তবয়স্কের মধ্যে একজনের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে। হৃদরোগ, স্ট্রোক, ক্যান্সার, কিডনি রোগ, শ্বাসতন্ত্রের রোগ ও ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন অসংক্রামক রোগের অন্যতম প্রধান ঝুঁঁকি উচ্চ রক্তচাপ। উচ্চ রক্তচাপ মোকাবেলায় তৃণমূল পর্যায়ে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ নিশ্চিত করার পাশাপাশি এ খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হলে অসংখ্য জীবন বাঁচানোসহ হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোক প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে। গবেষণা অনুযায়ী, উচ্চ রক্তচাপের পরীক্ষা ও ওষুধের পিছনে ১ টাকা ব্যয় করলে সামগ্রিকভাবে ১৮ টাকার সুফল পাওয়া সম্ভব।
কর্মশালায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কমিউনিটি বেইজড হেলথ কেয়ার (সিবিএইচসি) এর লাইন ডিরেক্টর ডা: মো: কাইয়ুম তালুকদার জানান, আমরা ইতোমধ্যে দুই-তৃতীয়াংশ উপজেলার কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ প্রদানের প্রক্রিয়া শুরু করেছি।
তিনি বলেন, ২০২৩ সালের ১৪ মে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ দ্রুত সরবরাহের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কিন্তু সেই সময় অর্থবছর শেষে বাজেট না থাকায় পরের অর্থবছর থেকে শুরু করা হয়। তিনি বলেন, এক-তৃতীয়াংশ স্বাস্থ্য কেন্দ্র এনসিটি কর্নার নাই। যার কারণে সেখানে ওষুধ পাঠানো হয় না। ওষুধ পাঠালে তা ড্যাম হয়ে যেতে পারে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা