পাঠ্যপুস্তক সংশোধন কমিটিতে আলেম ও ইসলামী স্কলার অন্তর্ভুক্ত করুন
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপিত জাতীয় পাঠ্যপুস্তক সংশোধন ও পরিমার্জন কমিটিতে আলেম ও ইসলামী স্কলার অন্তর্ভুক্তির আহ্বান জানিয়েছে বিভিন্ন সংগঠন।
খেলাফত মজলিস : এক যুক্ত বিবৃতিতে খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ ও মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের বলেন, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড প্রণীত এবং মুদ্রিত সব পাঠ্যপুস্তক সংশোধন ও পরিমার্জনের জন্য সরকার যে কমিটি ঘোষণা করেছে, সেখানে কোনো আলেম ও ইসলামী স্কলারের অন্তর্ভুক্তি নেই। ৯০ শতাংশ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বিষয়টি সুস্পষ্টভাবে বৈষম্যমূলক। পাঠ্য বইয়ে ধর্মীয় মতাদর্শ বিশেষ করে ইসলামী শিক্ষা, সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ যথাযথভাবে প্রয়োগ আছে কি না তা যাচাই করা এবং ইসলামের প্রয়োজনীয় বিষয়াবলি অন্তর্ভুক্তিকরণের জন্য কমপক্ষে দুজন নির্ভরযোগ্য আলেম ও ইসলামী স্কলার প্রয়োজন। আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আহ্বান জানাচ্ছি, অবিলম্বে কমপক্ষে দুজন আলেম ও ইসলামী স্কলার এই কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করুন। পাশাপাশি সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ধর্মীয় মূল্যবোধের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া কেউ যদি জাতীয় পাঠ্যপুস্তক সংশোধন ও পরিমার্জন কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত থাকে তাকেও অবিলম্বে অপসারণ করুন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ : সংগঠনের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, পাঠ্যপুস্তক সংশোধন কমিটিতে আলেম অন্তর্ভুক্তি না করা সুখকর নয়। সিলেবাসের অসঙ্গতি এবং পরিবর্তনের দাবিতে ইসলামপন্থী সংগঠনগুলো দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছে। বিশেষ করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ধারাবাহিকভাবে এর অসঙ্গতিগুলো বিগত সরকারকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে তা সংশোধনের দাবি করে আসছে। কিন্তু আমরা অবাক বিস্ময়ে দেখলাম উপদেষ্টা সরকারেও ঘাপটি মেরে থাকা নাস্তিক-মুরতাদরা তৎপর। কথাবার্তা পরিস্কার শিক্ষা নিয়ে কোনো চক্রান্ত মেনে নেয়া হবে না। অবিলম্বে পাঠ্যপুস্তক সংশোধন কমিটিতে আলেম এবং ইসলামী স্কলারদের অন্তর্ভুক্তি করতে হবে। গতকাল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কালকিনি উপজেলা শাখার উদ্যোগে উপজেলা শহীদ মিনার চত্বরে আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশন : সম্প্রতি গঠিত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপিত জাতীয় পাঠ্যপুস্তক সংশোধন ও পরিমার্জন কমিটিতে আলেম স্কলার রাখার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশন। সংগঠনের জেনারেল সেক্রেটারি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সিনেট সদস্য অধ্যাপক এবিএম ফজলুল করীম এক বিবৃতিতে বলেন, সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে জাতীয় পাঠ্যপুস্তক সংশোধন ও পরিমার্জনে ১০ সদস্যের একটি কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু এ কমিটিতে স্থান পায়নি কোনো আলেম স্কলার। শতকরা ৯২ ভাগ মুসলিম অধ্যুষিত দেশের এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ কমিটিতে কোনো ইসলামী চিন্তাবিদ বা বিজ্ঞ আলেম স্কলার রাখা হবে না তা মানা যায় না। বিগত ইসলাম বিদ্বেষী সরকার প্রায় ১৭ বছরের শাসনামলে নানা অসঙ্গতিসহ ইসলামী তাহযিব-তমদ্দুনবিরোধী অনেক বিষয় পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করেছে। সুদূরপ্রসারী ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে জাতীয় পাঠ্যপুস্তকে মুসলিমবিদ্বেষী ও নাস্তিক্যবাদী অনেক বিষয় ঢুকানো হয়েছে। যা শতকরা ৯২ ভাগ মুসলিম অধ্যুষিত দেশে কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। তিনি বলেন, কমিটিতে যারা সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন তাদের মধ্যে অনেকেই আছেন সরাসরি ইসলাম বিদ্বেষী। তাই বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশনের পক্ষ থেকে আমাদের দাবি জাতীয় পাঠ্যপুস্তক সংশোধন ও পরিমার্জন কমিটিতে অবশ্যই একাধিক বিজ্ঞ আলেম স্কলার অন্তর্ভুক্তির আহ্বান জানাচ্ছি।
জাতীয় শিক্ষক ফোরাম : সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক নাছির উদ্দীন খান বলেছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার জীবনের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন দেশে নতুন করে এনসিটিবি কর্তৃক সিলেবাস সংশোধন ও পরিমার্জন সমন্বয় কমিটি গঠন করলে সেখানেও সাম্য রক্ষা করা হয়নি। ধর্মপ্রাণ মানুষদের দেশে কমিটিতে শিক্ষাসংস্কার কমিটিতে ধর্মীয় বিশেষজ্ঞ এবং ইসলামিক স্কলারদের সম্পৃক্ত না করা অনভিপ্রেত। তিনি বলেন, সচেতন অভিভাবক মহল কোনোভাবেই তা মেনে নিতে পারে না। অনতিবিলম্বে সমন্বয় কমিটিতে আলিয়া মাদরাসা, কওমি মাদরাসা এবং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একজন করে প্রচলিত জ্ঞানের পাশাপাশি ধর্মীয় জ্ঞানে সমৃদ্ধ ইসলামিক স্কলার নিয়োগ দিয়ে কমিটি পুনর্গঠন করা জনদাবিতে পরিণত হয়েছে।
গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাব চত্বরে জাতীয় শিক্ষক ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটি আয়োজিত মানববন্ধনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা