২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১, ২০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`

সাবেক প্রতিমন্ত্রী এনামুর এমপি বকুল ও বিসিআইসি সাবেক চেয়ারম্যানের দুর্নীতির অনুসন্ধান করবে দুদক

-

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী ডা: মো: এনামুর রহমান, নরসিংদী-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সরদার সাখাওয়াত হোসেন বকুল এবং বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) সাবেক চেয়ারম্যান মো: হাইয়ুল কাইয়ুমের দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদকের জনসংযোগ বিভাগ জানায়, গতকাল সোমবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে কমিশন তাদের দুর্নীতির বিষয় অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়।
ডা: মো: এনামুর রহমান ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। দুদকের গোয়েন্দা অনুসন্ধানে জানা গেছে, তার নিজ নামে নগদ জমা ৪৩ লাখ ৫৪ হাজার ৮৫৭ টাকা, আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা এক কোটি ৩৩ লাখ ২৩ হাজার ১১৮ টাকাসহ বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগ তিন কোটি ৭৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এছাড়া এনাম মেডিক্যাল হসপিটাল প্রাইভেট লিমিটেড, এনাম এডুকেশন অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ভিলেজ (প্রা.) লিমিটেড এবং এনাম ক্যানসার হসপিটাল লিমিটেডে কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ রয়েছে। তার অবৈধভাবে অর্জিত জ্ঞাতআয়বহির্ভূত সম্পদ রয়েছে বলেও গোয়েন্দা তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে।
অপরদিকে সরদার সাখাওয়াত হোসেন বকুল ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। দুদকের গোয়েন্দা অনুসন্ধানে তার নিজ নামে ৫ কোটি টাকার বেশি মূল্যের ফ্ল্যাট, নিজ এলাকায় প্রায় ২০ একর সম্পত্তি ক্রয়, গাড়িবাড়িসহ বিভিন্ন কোম্পানিতে কোটি কোটি টাকার বিনিয়োগ রয়েছে বলে জানা গেছে।
অন্যদিকে, মো: হাইয়ূল কাইয়ুম চাকরিতে যোগদানের পর থেকে ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করেছেন। তিনি ২০০৯-২০১০ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ডিসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। দুদকের গোয়েন্দা অনুসন্ধানে স্থাবর সম্পদের মূল্য ৪ কোটি ৬০ লাখ টাকা। তার চাকরির সঞ্চয় দিয়ে পারিবারিক ব্যয় নির্বাহের পর এ অর্থ উপার্জন কোনোভাবেই সম্ভব নয়। অবৈধভাবে অর্জিত জ্ঞাতআয়বহির্ভূূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে কমিশন অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement