২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`
এনডিএফের আলোচনায় বক্তারা

চিকিৎসকের সুরক্ষা না থাকলে স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত হয়

-

চিকিৎসকের সুরক্ষা না থাকলে নিরবচ্ছিন্ন স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত হয়। তাই সুরক্ষা নিশ্চিত করতে চিকিৎসকদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা প্রদানের বিকল্প নেই। চিকিৎসকদের পেশা উন্নয়নে কর্মরত সংগঠন ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরাম (এনডিএফ) আয়োজিত গোলটেবিল আলোচনায় চিকিৎসকরা এই দাবি জানান। এনডিএফ গতকাল শনিবার বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘চিকিৎসকদের নিরাপদ কর্মস্থল’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনার আয়োজন করে। সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ডা: মো: নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ছাড়াও অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, আইনজীবী, পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাও বক্তব্য রাখেন। এ সময় চিকিৎসকদের কর্মস্থলে নিরাপত্তা প্রদানে স্বাস্থ্য পুলিশ গঠনেরও দাবি জানানো হয়। চিকিৎসকরা বলেন, নিরাপদ কর্মস্থল নিশ্চিত করতে না পারলে উন্নত স্বাস্থ্যসেবাও পাওয়া যাবে না।
সভায় বক্তব্য রাখেন- বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক সাবেক উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা: এম মোজাহেরুল হক, পুলিশের সাবেক ডিআইজি ড. মতিউর রহমান, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শিশির মনির, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি মো: শহিদুল ইসলাম, সাবেক বিচারক মাজদার হোসেন, এনডিএফ সেক্রেটারি অধ্যাপক মো: মাহমুদ হোসেন, অধ্যাপক ডা: হাবিবা সুইট, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ডা: মো: আতিয়ার রহমান, মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডা: মো: আসাদুজ্জামান কাবুল প্রমুখ। সূচনা বক্তব্য প্রদান করেন এনেসথেসিলজিস্ট, এনডিএফের যুগ্ম সম্পাদক ডা: মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর। চিকিৎসকদের ওপর বিভিন্ন সময় হামলার ঘটনা উপস্থাপন করেন ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ডা: নাজিরুম মুবিন।
অধ্যাপক মোজাহেরুল হক বলেন, কর্মস্থলে চিকিৎসকদের সুরক্ষা ও রোগীবান্ধব স্বাস্থ্যব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে টেকসই আইন প্রয়োজন। চিকিৎসকরা কর্মস্থলে নিরাপদ না হলে তারা রোগী সেবা করতে পারবেন না। একই সাথে স্বাস্থ্যসেবাও হতে হবে রোগীবান্ধব। চিকিৎসক ও রোগীর অধিকার নিশ্চিত করতে পারলেই উন্নত স্বাস্থ্যব্যবস্থা গড়ে উঠবে।
চিকিৎসকদের নিরাপত্তার জন্য ড. মতিউর রহমান পুলিশের হাসপাতাল ইউনিট অথবা হেলথ প্রটেকশন পুলিশ গঠনের প্রস্তাব দেন। আইনজীবী শিশির মনির বলেন, কেবল শাস্তি প্রদান করে অপরাধ দমন করা যায় না। চিকিৎসকদের নিরাপত্তার পাশাপাশি চিকিৎসায় অবহেলার বিষয়টিও সামনে আনতে হবে। ২০২৩ সালের আইনে চিকিৎসকদের কিছু সুরক্ষার কথা বলা হয়েছে; কিন্তু চিকিৎসায় অবহেলা হলে রোগী কী পরিমাণ ক্ষতিপূরণ পাবে তা আইনে নেই। ডিইউজে নেতা মো: শহিদুল ইসলাম বলেন, চিকিৎসায় ভুল হয়েছে কি না তা সাংবাদিকরা বলতে পারেন না। এটা কেবল বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরাই বলতে পারেন। অবসরপ্রাপ্ত বিচারক মাজদার হোসেন বলেন, নিজেদের পেশার উন্নয়নে বাংলাদেশে চিকিৎসকদের খুব বেশি তৎপরতা নেই। সে কারণে জাজদের অথবা প্রশাসনের লোকদের মানুষ পেটায় না, সামান্য এদিক-সেদিক হলেই চিকিৎসকদের পেটায় মানুষ।
কারণ অন্যান্য পেশার লোকদের নিরাপত্তা থাকলেও চিকিৎসকদের নেই। অধ্যাপক হাবিবা সুইট বলেন, চিকিৎসকদের কাজের সুস্থ পরিবেশ নেই বলে তারা এখন মারা খাচ্ছেন। ডা: আতিয়ার রহমান বলেন, চিকিৎসকদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা থাকা উচিত। তা না হলে কর্মস্থলে চিকিৎসক কেবল মার খেতেই থাকবেন।


আরো সংবাদ



premium cement